
আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা সবাই অনেক বেশি ভালো আছেন। এখানে আপনাদের সাথে আমরা খুব সুন্দরভাবে এই সমস্ত যাবতীয় প্রকৃতি নিয়ে কবিতা ক্যাপশন শেয়ার করব। তাই অবশ্যই শেষ পর্যন্ত সবগুলো প্রকৃতি নিয়ে কবিতা ক্যাপশন পরবেন।
এখানে আপনাদের সাথে আমরা যেসমস্ত প্রকৃতি নিয়ে কবিতা ক্যাপশন শেয়ার করব এগুলো সবগুলোই অনেক বেশি সুন্দর ও আকর্ষনীয়। তাই অবশ্যই শেষ পর্যন্ত আমাদের আজকের এই প্রকৃতি নিয়ে কবিতা ক্যাপশনগুলো পরবেন।
প্রকৃতি নিয়ে কবিতা ক্যাপশন
নিচে আপনাদের জন্য খুব সুন্দরভাবে যাবতীয় প্রকৃতি নিয়ে কবিতা ক্যাপশন তুলে ধরা হলো। এগুলো পড়লে সবারই অবশ্যই অনেক বেশি ভালো লাগবে। তাহলে আসুন এখন শুরুকরা যাক।
১।
সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে,
রোদ খেলছে মেঘের হাটে,
প্রকৃতির ভাষা বোঝে শুধু,
যে মিশেছে হৃদয়পাতায়।
২।
নীরব নদীর বুকে আজ,
বয়ে যায় এক মায়াবী সুর,
প্রকৃতির কোলে শান্তি খুঁজি,
ব্যস্ততার দুনিয়া দূর।
৩।
পাহাড় ডাকে, বনছায়া হাসে,
পাখির গান বেজে উঠে ঘাসে,
এই পৃথিবীর রঙের খেলায়,
প্রকৃতি সাজে অনন্ত আশায়।
৪।
সূর্য যখন ডুবে যায় ধীরে,
আকাশে লাল রঙ আঁকে ফিরে,
প্রকৃতি তখন কবিতা হয়ে,
শব্দহীন ভালোবাসা শোনায় রয়ে।
৫।
বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে ধরা তলে,
প্রকৃতি যেন নাচে আনন্দের ছলে,
মাটির গন্ধে ভিজে যায় মন,
এই তো প্রকৃতির প্রেম-উপনয়ন।
৬।
পাতার শব্দে কবিতা লেখে,
বাতাস এসে কানে কানে বলে,
তোমার মতো প্রিয় কিছু নেই,
এই প্রকৃতি, এই ভালোবাসা।
৭।
নীল আকাশে উড়ছে মেঘ,
নদীর ঢেউয়ে বাজছে বেগ,
মন ডুবে যায় সৌন্দর্যপানে,
প্রকৃতি যেন এক চিরন্তন গানে।
৮।
ফুলের গন্ধে সকাল শুরু,
প্রজাপতির সাথে রঙিন দূর,
প্রকৃতির এই রূপের মাঝে,
ভুলে থাকি আমি নিজের খাঁজে।
৯।
জোছনার আলোয় নদী হাঁসে,
বনে বাজে বাঁশির তালে,
প্রকৃতির গান শুনি চুপিচুপি,
আত্মার গভীরতায় বাজে তার সুর।
১০।
সন্ধ্যার পাখি ডাকে ফিরে,
সূর্য নামে ধীরে ধীরে,
প্রকৃতির সেই রঙিন ছায়ায়,
মন হারিয়ে যায় আবেগের মায়ায়।
১১।
নদীর ধারে বসে ভাবি,
জীবনটা যদি হতো এই ভাবে,
নীরব, সুন্দর, ছন্দে বাঁধা,
প্রকৃতির মত নির্ভার আর সাবলীল।
১২।
কুসুম কুয়াশা জড়ানো সকালে,
প্রকৃতি জানায় দিনের আহ্বান,
জীবনের ক্লান্তি ধুয়ে যায়,
এই অনবদ্য রূপের সম্মান।
১৩।
পাতাঝরার পথে হেঁটে,
শুনি পায়ের নিচে কাব্য,
প্রকৃতির প্রতিটি নিঃশ্বাস,
একেকটি জীবনের উপাখ্যান।
১৪।
আকাশজোড়া মেঘের ভেলা,
ডাকে আমায় নিরালা বেলা,
চাই একটুখানি সবুজ আশ্রয়,
প্রকৃতির বুকে প্রাণের পরশ।
১৫।
সাগরের ঢেউ আর বাতাসের হাসি,
এই জীবন যেন প্রকৃতির কবিতা,
রাখে না কোনো অভিমান বা ব্যথা,
শুধুই দেয় প্রেম, দেয় শান্তি।
১৬।
প্রকৃতি মানেই মায়াবী ছোঁয়া,
যেখানে ভালোবাসা খেলে,
প্রতিটি পাতা, প্রতিটি ফুল,
বলতে জানে কেমন করে ভালোবেসে মরে।
১৭।
বাঁশবনের ছায়ায় হেলে,
চাঁদের আলো মাটিতে খেলে,
প্রকৃতির ওই ছোট্ট দৃশ্য,
এক জীবনের শত প্রেমের বিশ্লেষণ।
১৮।
শিমুল ফুলে লাল বসন্ত,
প্রকৃতির গল্প বলে অনন্ত,
প্রেমের মত, কবিতার মত,
চিরন্তন সেই স্পন্দন।
১৯।
গোধূলি বেলায় রঙ মিশে যায়,
আকাশে প্রেমের ছবি আঁকায়,
প্রকৃতির এমন রঙিন ক্যানভাসে,
মন চায় শুধু হারিয়ে যেতে।
২০।
হিমেল বাতাসে নেচে ওঠে,
দোলনচাঁপার কোমল পাতাগুলো,
প্রকৃতির ভাষায় শোনে মন,
এক নিঃশব্দ ভালোবাসার কাব্য।
২১।
বৃষ্টির পরে রংধনু,
প্রকৃতির মুখে হাসির ছোঁয়া,
এই যে রঙের অপরূপ খেলা,
মন বলে, “এই জীবনই চাই”।
২২।
নদীর বুকে চাঁদের আলো,
বাতাসে বাজে শঙ্খধ্বনি,
প্রকৃতির এই রূপে ভর করে,
আমার কবিতার জন্ম হয়।
২৩।
পাহাড়ের কোল ঘেঁষে বয়ে যায় নদী,
প্রকৃতি যেন চিত্রশিল্পীর তুলি,
রঙ ছড়ায়, ছন্দ গায়,
আর আমাদের প্রেমে মাতিয়ে রাখে।
২৪।
প্রকৃতির কোলে যে শান্তি পাই,
জগতের কোথাও তা মেলে না ভাই,
এই রূপ, এই ছন্দ, এই ভালোবাসা,
সব কিছুর ঊর্ধ্বে প্রকৃতির ভাষা।
২৫।
প্রতিটি সকাল নতুন বার্তা আনে,
সূর্য ওঠে, জীবন জেগে ওঠে,
প্রকৃতির হাসি ছড়িয়ে পড়ে,
সবুজের মাঝে প্রাণ ফিরে পায়।
২৬।
ক্লান্ত মন চায় ছায়া,
যেখানে থাকবে না কোনো দুঃখের উপাখ্যান,
প্রকৃতির ওই নির্জন কোণে,
মন খুঁজে পায় প্রশান্তি আর গান।
২৭।
কচি পাতায় শিশির বিন্দু,
রোদ এসে তাতে আলতো চুমু,
প্রকৃতি নিজেই যেন কবি,
সব কিছুকে বানায় শিল্পীর ছবি।
২৮।
আকাশের তারা গুনতে গুনতে,
ভেবে যাই, কী অপূর্ব এই সৃষ্টি,
প্রকৃতির প্রতিটি আয়োজনে,
আছে পরম করুণার স্পর্শ।
২৯।
বনের পাতায় পাতায় বাজে,
প্রেমের এক ছায়াময় সুর,
প্রকৃতি তো নিজেই ভালোবাসা,
যার সাথে থাকে না কোনো দূরত্ব।
৩০।
দিগন্তজোড়া ধানের খেতে,
হাওয়া খেলে যায় শান্ত শীতে,
প্রকৃতির ওই সবুজ পটভূমি,
জীবনকে শেখায় নির্মলতা।
৩১।
তপ্ত দুপুরে ছায়ার মতো,
প্রকৃতি দেয় শান্তির বারতা,
মন যেখানে জুড়িয়ে যায়,
সব ক্লান্তি সেখানেই মুছে যায়।
৩২।
রাতের আকাশে চাঁদের আলো,
জোনাকি যেন কবিতা লেখে,
প্রকৃতির এই রহস্যময়তা,
শুধুই নয়, এক রূপকথার রূপ।
৩৩।
ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণে ভরে,
প্রকৃতি মেখে রাখে হৃদয় ঘরে,
ভালোবাসা, আশা, স্বপ্ন ও গান—
সবই যেন তার সৃষ্টির দান।
৩৪।
বনভূমির ধ্বনি শোনো,
পাখিদের কোরাস গায় মনো,
প্রকৃতির এই মহাসঙ্গীত,
জীবনের চেয়েও সুন্দর অধিক।
৩৫।
তোমার চোখে যদি থাকে প্রকৃতি,
তবে জীবন হবে কাব্যিক,
কোনো ব্যথা ছুঁতে পারবে না,
প্রকৃতির ছায়া রাখবে রক্ষা।
৩৬।
প্রকৃতি মানেই নবজীবনের গান,
রোদ-বৃষ্টি-ধূলি আর প্রাণ,
যেখানে নেই কোনো অভিনয়,
শুধুই সত্যের নিরব স্বর।
৩৭।
মেঘলা দিনের নিঃসঙ্গ পথে,
চুপচাপ হেঁটে চলে প্রকৃতি,
জীবনকে শেখায় কীভাবে হাঁটতে হয়,
কোনো আশ্রয় ছাড়াই।
৩৮।
নদীর ধারে বসে দেখি,
জীবন কত ছোট, প্রকৃতি কত বড়,
তার নিঃশব্দ ভাষা আমার,
অন্তরের গভীর স্পর্শ।
৩৯।
আকাশের গায়ে মেঘের তুলি,
সন্ধ্যার আগমনী বার্তা আনে,
প্রকৃতির এ কাব্যিক ছন্দে,
ভালোবাসি বেঁচে থাকাকে।
৪০।
সবুজ ঘাসে গড়িয়ে পড়ে,
শিশির ভেজা ভালোবাসা,
প্রকৃতির কোলে ফিরে পায় মন,
শান্তির নতুন সংজ্ঞা।
৪১।
পাহাড়ের গায়ে মেঘ ছুঁয়ে যায়,
নির্জনে দাঁড়িয়ে মন কাঁদে হায়,
এই প্রাকৃতিক নিঃশব্দতা বলে,
ভালোবাসা শুধু শব্দে নয়, চোখে লেখা হয়।
৪২।
সাঁঝবেলার আকাশ যখন,
কমলা রঙে ভরে যায়,
প্রকৃতির এই ছায়াময় ছবি,
জীবনের গল্পে ঢেউ তুলে যায়।
৪৩।
গাছেরা কথা বলে বাতাসে,
পাতা নাচে প্রেমের আহ্বানে,
প্রকৃতি এখানে জীবন্ত কবি,
সবকিছুতে আছে তার প্রাণের গানে।
৪৪।
হাঁটছি ধীরে কুয়াশা ঢাকা পথে,
আলোকছায়ার খেলা ছায়া ফোটে,
প্রকৃতির একেকটা মুহূর্ত যেন,
আত্মা ছুঁয়ে যাওয়া মেঘের নকশা।
৪৫।
নিঃশব্দ ভোরের আলোয় জাগে,
পাখির ডাকে নতুন সকাল ভাগে,
প্রকৃতি জাগায় ঘুমন্ত আশা,
নতুন জীবনের করে প্রকাশ।
৪৬।
শীতের সকালে শিশির ভেজা,
ঘাসের ডগায় ঝুলে প্রেম-সাজা,
প্রকৃতি এখানে প্রেমের চিঠি,
প্রতিটি বিন্দুতে ভালোবাসার স্মৃতি।
৪৭।
চাঁদের আলোয় ঘুমিয়ে পড়ে,
নদীটা যেন স্বপ্নে ভরে,
প্রকৃতির এই রাতের নিস্তব্ধতা,
মনে করিয়ে দেয় হারানো কথা।
৪৮।
ফাগুন এলে রঙ মিশে যায়,
প্রকৃতির বুক ভরে ভালোবাসায়,
লাল-পিঙ্ক ফুলে ফুলে লেখা,
এক গল্প – হৃদয়ের স্পর্শে আঁকা।
৪৯।
বাঁশির সুরে ভেসে আসে,
বাতাসে এক পাগল করা হাসি,
প্রকৃতি তো চিরন্তন প্রেমিকা,
যার প্রেমে ক্লান্ত মনও হাসে।
৫০।
প্রকৃতি জানে কিভাবে চুপচাপ,
ভাঙা মনকে করে দেয় সাবলীল,
গাছের নিচে বসে শুধু থাকলেই,
সব দুঃখ যেন নিজেই হারায় বিলীন।
৫১।
তালগাছের ছায়ায় বসে ভাবি,
প্রকৃতির সাথে কথা বলি চাপা ভাবেই,
শান্তির মন্ত্র যেন গাছের ছায়া,
যেখানে নেই দুঃখের মায়া।
৫২।
শীতল হাওয়ায় মন চায় উড়ে যেতে,
যেখানে শুধু প্রকৃতি গান গায় একা,
মানুষের কোলাহল ভুলে,
চাই প্রকৃতির কোলে একটু জিরোতে।
৫৩।
আকাশ জুড়ে মেঘের খেলা,
নীল দিগন্তে রঙের ঢেলা,
প্রকৃতি যেন এক বিশাল চিত্রশালা,
প্রতিদিন আঁকে তার ভালোবাসার মালা।
৫৪।
ধানক্ষেতের মাঝখানে হাঁটি,
সবুজে ভরে যায় চোখের পাতি,
প্রকৃতির ছোঁয়া হৃদয় ছুঁয়ে যায়,
এই ভালোবাসা যেন কোনোদিন কমে না হায়।
৫৫।
গোধূলির রঙে ভাসে আকাশ,
প্রকৃতির চুম্বনে হারায় সকল বিষাদ-আভাস,
এই দৃশ্য যেন এক নীরব কবিতা,
যা হৃদয়ে বাজে গভীর অনুভবতা।
৫৬।
বৃষ্টির জলে ভিজে পথঘাট,
মন বলে – হারিয়ে যাই কোন চাঁদের মাঠ?
প্রকৃতির প্রতিটা শব্দ যেন গান,
যা শোনে মন, হয়ে যায় বিমুগ্ধ প্রাণ।
৫৭।
তপ্ত রোদে ঝিকিমিকি জল,
প্রকৃতির রূপে চোখ রাখলে মেলে আলো-তল,
এই সৌন্দর্য দেখে প্রতিদিনই ভাবি,
কেন এতদিন ব্যস্ত শহরে আমি?
৫৮।
শিউলি ফুল ঝরে পড়ে ভোরে,
সুবাসে ভরে যায় প্রিয় জনের ঘরে,
প্রকৃতির এমন স্নিগ্ধতা পেলে,
প্রেমের কাব্য মন জয় করে খেলে।
৫৯।
পাখিদের কলতানে জাগে সকাল,
সবুজ পাতায় ওঠে নতুন কাব্য-জল,
প্রকৃতি শেখায় নতুন করে বাঁচা,
প্রতিটা মুহূর্তে ভালোবাসা আঁচা।
৬০।
গ্রামের পথে কাদামাটি মাখা,
তবুও যেন শান্তির ঠিকানা,
প্রকৃতি নিজের মত করে বুঝায়,
আভিজাত্য নয়, সহজতাই সুখে রাখে হায়।
৬১।
দিগন্তজোড়া সোনালি ফসল,
প্রকৃতি হাসে, গায় জীবন-মঙ্গল,
শ্রমিকের ঘামে বোনা এই মাঠ,
তুলে আনে প্রকৃতির নতুন পাট।
৬২।
নদী বয়ে চলে নিজের সুরে,
মন চায় হারিয়ে যাই সেই পুরে,
প্রকৃতি জানে কিভাবে ভালোবাসতে,
কোনো বিনিময় ছাড়াই হাসতে।
৬৩।
বৃক্ষেরা দাঁড়িয়ে অবিচল হয়ে,
যেন সময়ের সাক্ষী তারা শত গলায়,
প্রকৃতি জানে সহ্য, জানে অপেক্ষা,
মানুষ শিখুক সেই ধৈর্যের লেখা।
৬৪।
ঝরনার ধ্বনি যখন গায় সুর,
প্রকৃতি বাজায় হৃদয়পুর,
এই নীরবতা মাঝে কান পাতলে,
প্রকৃতিই বলে প্রেম কীভাবে পেলে।
৬৫।
পথের ধারে বুনো ফুল ফুটে,
চোখে পড়ে না, তবুও তারা ছুঁটে,
প্রকৃতি শেখায় – না বলা ভালোবাসা,
সবচেয়ে গভীর, সবচেয়ে খাঁটি আশা।
৬৬।
পাহাড়ে বসে সূর্যাস্ত দেখা,
প্রকৃতির হাতে আঁকা এক প্রেমলেখা,
কোনো ক্যামেরা সে রঙ ধরতে পারে না,
এই অনুভব কেবল হৃদয়ে সঞ্চারনা।
৬৭।
সবুজ পাতার নিচে একাকী বসি,
প্রকৃতির ছায়ায় হারায় জীবনের দুঃখগাথা সবই,
এই নীরব শান্তি বলে দেয় আমায়,
জীবন আসলে অনেক সুন্দর, বুঝে যাই চুপচাপ আমায়।
৬৮।
জোনাকির আলোয় রাত জ্বলে ওঠে,
প্রকৃতি তখন নিঃশব্দে গান গায় ছোটে,
এই আলো, এই স্নিগ্ধতা বলেই যায়,
জীবন প্রতিদিন নতুন আলো পায়।
৬৯।
গ্রীষ্মের দুপুরে ছায়ার আশ্রয়,
প্রকৃতি নিজেই তো প্রিয় এক পরিচয়,
তাপ-ঘাম ক্লান্তি ভুলে যাই,
গাছতলায় বসেই শান্তি খুঁজে পাই।
৭০।
খালপাড়ে বসে জলের শব্দ শোনি,
মন বলে – এই তো শান্তির গন্তব্যখানি,
প্রকৃতি শুধু রূপ নয়, জীবনের পাঠ,
যা শেখায় প্রেম, সহানুভূতি আর খাঁটি কথার হাত।
৭১।
তরমুজ মাঠে শিশির পরে,
সবুজ পাতায় স্বপ্ন জড়ে,
এই প্রাকৃতিক নিস্তব্ধতায়,
মন বলে – ফিরে যাই ছেলেবেলায়।
৭২।
শিমুল গাছে লাল ফুল ফোটে,
প্রকৃতি হাসে, প্রেমে ডুবে ছোটে,
এই রঙিন ছবির মাঝে,
লুকিয়ে থাকে হাজারো ভালোবাসার সাজে।
৭৩।
নদীর স্রোত যেন কথার ঢেউ,
প্রকৃতির গানে বাজে হৃদয়-চিন্তা জেউ,
এই শব্দহীন নীরবতা বলে –
তোমার আমার গল্প লিখে চলে।
৭৪।
ধানক্ষেতের মাঝে হাওয়া দোলা দেয়,
প্রকৃতি যেন প্রেমিক, বাতাসে কবিতা বয়,
এই জীবনের ব্যস্ততায় ক্লান্ত হলে,
এসো প্রকৃতির কোলে চুপটি বসে রই।
৭৫।
কাঠাল গাছে পাখির বাসা,
প্রকৃতির এমন স্নেহ-মায়া ভালোবাসা,
যেখানে আশ্রয়, সেখানে বিশ্বাস,
প্রকৃতি শেখায় সহানুভূতির আসল প্রকাশ।
৭৬।
মেঘে ঢাকা বিকেল বেলা,
রোদের লুকোচুরি খেলা,
এই আবহে মন চায় হারাতে,
প্রকৃতির সঙ্গে চুপিচুপি প্রেমে যেতে।
৭৭।
আকাশে যখন রামধনু ঝরে,
প্রকৃতি তখন রূপকথার কাব্যে ভরে,
এই সাতরঙা মায়ার ডানায় ভর,
মন চায় উড়ে যেতে অজানার ঘর।
৭৮।
তালবনের শীষে বাতাস বয়ে,
মন বলে – কত শান্তি এই ছায়ায় রয়,
এমন ছায়ায় দাঁড়িয়ে ভাবি,
আমার প্রিয় কবিতা প্রকৃতি-সাজা ছবি।
৭৯।
বৃষ্টির শব্দে মাটি যখন নাচে,
প্রকৃতি নিজের প্রেমিকাকে আঁকড়ে বাঁচে,
এই সুর-ছন্দ, জল-ছোঁয়া স্মৃতি,
মনকে করে দেয় নীরব কবিতার গীতি।
৮০।
ভোরের আলোয় যখন গাছ জেগে ওঠে,
প্রকৃতির চোখে তখন হাসি ছোটে,
এই দৃশ্য দেখে মুগ্ধ মন ভাবে –
জীবন শুরু হোক আজ নতুন রঙে রাবে।
৮১।
কাকডাকা ভোরে উঠি চুপিচুপি,
পাখির ডাকে হৃদয়ে লাগে সুরের রূপী,
প্রকৃতির ছোঁয়ায় এমন নতুন সকাল,
যেন প্রতিদিন মেলে নতুন প্রেমের কাল।
৮২।
চায়ের কাপে ভেসে আসে ধোঁয়া,
প্রকৃতির মাঝে বসে তার ছায়া ছোঁয়া,
এই সকাল যেন প্রেমিক কবি,
কথা না বলেই বুঝায় সব কথা দিবি।
৮৩।
নদীর ধারে বসে, দেখি সূর্যাস্ত,
প্রকৃতির ভালোবাসা হয় এখানে স্পষ্ট,
এই মুহূর্তে মনে হয় –
সব ভুলে গিয়ে নতুন করে জীবন জয়।
৮৪।
কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে মাঠ,
প্রকৃতির চোখে জ্বলছে ভোরের হিরার দ্যুতি,
এই রূপ দেখে হৃদয় বলে –
সুন্দরতা হলো নিঃশব্দ ভালোবাসার বুলি।
৮৫।
চৈত্রের রোদে মুগ্ধ কৃষ্ণচূড়া,
প্রকৃতি সাজে যেন প্রেমের মঞ্জুরা,
এই ফুল ফুটে বলে দেয় বারবার,
ভালোবাসা হলো প্রকৃতির প্রকারান্তরে হর্ষধ্বার।
৮৬।
ঝর্ণার নিচে দাঁড়িয়ে দেখি জলপ্রপাত,
প্রকৃতি যেন জানে হৃদয়ে জমা সকল আঘাত,
সে ধুয়ে নিয়ে যায় ধীরে ধীরে,
মন ফিরে পায় আপন শুদ্ধির ধারে।
৮৭।
গ্রামের মেঠোপথে হাঁটতে হাঁটতে,
প্রকৃতির ডাকে হারিয়ে যাই অভিমানে,
এখানে সময় থেমে থাকে বলে,
হৃদয়ের সব যন্ত্রণা পড়ে যায় ভুলে।
৮৮।
চাঁদের আলোয় নদী দুলে ওঠে,
প্রকৃতি তখন গায় নিঃশব্দে ছোটে,
এই চন্দ্রালোকিত রাতে মনে হয়,
ভালোবাসা এখনো বেঁচে রয়।
৮৯।
আম গাছে দোল খায় মিষ্টি হাওয়া,
প্রকৃতির কোলে লুকিয়ে সুখের ছায়া,
এই শান্তি আর কোথাও পাওয়া যায় না,
যেখানে গাছ, ফুল, পাখি আপন হয় সারাক্ষণা।
৯০।
ফুলের গন্ধে ভরা পথচলা,
প্রকৃতির ডাকে মন চায় হিমেল ছোঁয়া,
এই নির্জন শান্তির মাঝে,
জীবন যেন পায় নতুন সাহসে।
৯১।
পাখির ঝাঁকে কাটে দিনভর,
প্রকৃতির কোল যেন সুখের ঘর,
এই নিরব ব্যস্ততায় ভরপুর,
মন চায় হোক না এমন দিন প্রতিদিন জুড়।
৯২।
পথের ধারে ঝরেপড়া বেলীফুল,
প্রকৃতির হাতে যেন প্রেমের ভুল,
যেখানে ঝরে যায় সে-ই ভালোবাসা,
যা মৌন থেকেও ছুঁয়ে যায় আশা।
৯৩।
ভাটিয়ালি সুরে ভাসে নদী,
প্রকৃতির গান হয় হৃদয়ে নিরব সঙ্গীতের খুঁটি,
এই সুর, এই রাগ, এই ধ্বনি,
সবকিছুতেই লেখা হৃদয়ের বাণী।
৯৪।
ধানের শিষে হাওয়ার খেলা,
প্রকৃতির মাঝে কবিতার মেলা,
এই মাঠ, এই রোদ, এই ছায়া,
সব মিলে জীবন আঁকে জীবন্ত ছায়া।
৯৫।
সন্ধ্যাবেলায় দীঘির ধারে,
চাঁদের আলো পড়ে হৃদয়পারে,
এই মুহূর্ত যেন শান্তির ছবি,
যা লেখা হয় প্রকৃতির কল্পকবিতে।
৯৬।
পথে হাঁটি, গাছেরা পাশে,
প্রকৃতির সাথে পথচলা স্নিগ্ধ আশ্বাসে,
এই ছায়া, এই মাটি, এই গন্ধ,
মন করে প্রকৃতির মাঝে চিরবন্ধ।
৯৭।
ঝড়ের মাঝে গাছের দাঁড়িয়ে থাকা,
প্রকৃতির কাছে শেখা অবিচল থাকা,
এই দৃশ্য শেখায় বলিরেখা,
দুর্যোগেও শান্তি ধরে রাখা।
৯৮।
হলুদ সূর্য ডোবে দিগন্তপারে,
প্রকৃতির রঙে আঁকা এক প্রেমস্মারে,
এই সন্ধ্যা বলে – তুমি ফিরে এসো,
প্রকৃতির কোলে আবার স্বপ্ন বুনে বসো।
৯৯।
বৃষ্টির ফোঁটায় গানের ছোঁয়া,
প্রকৃতির আঙিনায় শান্তির প্রহরা,
এই বর্ষণে জেগে ওঠে আশা,
ভিজে যায় হৃদয়ের গোপন ভাষা।
১০০।
ভোরের আলো যখন নেমে আসে,
প্রকৃতি বলে – সব কিছুই আবার ফিরে আসে,
এই শুরু, এই শেষ, এই মাঝামাঝি,
সবকিছুতেই প্রকৃতির শান্তি বাজি।
১০১।
ধানখেতে হাওয়া যখন নাচে,
মন বলে – প্রকৃতির ছোঁয়ায় জীবন বাঁচে,
এই বাতাসে লুকিয়ে থাকে কবিতা,
প্রকৃতি যেন হৃদয়ের অজানা জ্যোতিষ্কিতা।
১০২।
গোধূলির আলো ছুঁয়েছে মাঠ,
প্রকৃতি গায় এক নীরব প্রহসন সাথ,
এই মুহূর্তে জীবন থেমে থাকে,
শুধু প্রকৃতির ভাষায় হৃদয় ডাকে।
১০৩।
নদীর কূলে নৌকা দোলে হেলে,
প্রকৃতির ডাকে মন চায় খেলে,
এই ঢেউয়ের শব্দ হৃদয়ে বাজে,
ভুলে যাই সব কষ্ট, স্মৃতির সাজে।
১০৪।
শীতের কুয়াশায় ঢাকা মাঠের ছবি,
প্রকৃতি আঁকে নিঃশব্দ প্রেমের কবি,
এই সাদা চাদরে আবৃত মন,
চায় হারিয়ে যেতে প্রকৃতির ধ্বনিময় বন।
১০৫।
মৌমাছি গুনগুনায় ফুলের বনে,
প্রকৃতির কাজ চলে নিজের ধ্যানে,
এই নীরব শ্রম, নিখাদ প্রেম,
আমরা ভুলে যাই সেই প্রকৃতির ভ্রম।
১০৬।
পাখির কূজনে ভোরের ঘুম ভাঙে,
প্রকৃতি জাগে সুরে, কবিতায় ঢাকে,
এই মুহূর্তে সব ব্যস্ততা ভোলে,
মন চায় থাকি শুধু প্রকৃতির কোলে।
১০৭।
রক্তজবা ফুটে উঠেছে বাগানে,
প্রকৃতির প্রেম ধরা দেয় রঙিন প্রাণে,
এই রঙে মিশে যায় ভালোবাসা,
মাটির গন্ধে জেগে উঠে আশা।
১০৮।
পাহাড় ঘেরা উপত্যকার কোলে,
প্রকৃতি শিখায় নিঃশব্দ ভালোবেসে রোলে,
এই উঁচু-নিচু পথে হাঁটতে হাঁটতে,
মন বলে – ফিরে চল প্রকৃতির ছায়াতে।
১০৯।
পুকুরের জলে কমলাফুল হাসে,
প্রকৃতির চোখে শান্তির আলতো আভাসে,
এই নিঃশব্দ কোমল দৃশ্যপটে,
মন হারায় হাজার কথার তটে।
১১০।
গ্রাম্য পথের পাশে খেজুরগাছ দাঁড়ায়,
প্রকৃতির ছায়া যেন মায়ার পরশ ছড়ায়,
এই নির্জন পথের প্রতিটা ধূলা,
আমার গল্প জানে – তোমার মতো খোলা।
১১১।
সন্ধ্যার হিমেল হাওয়ায় কাঁপে পাতাঝরা গাছ,
প্রকৃতির প্রতিটি ঢেউয়ে জাগে ভালোবাসার আশ,
এই বাতাস বলে, “শুধু থেমে দ্যাখো,”
মন যেন ভাবে – জীবনের জাদু এখানেই থাকো।
১১২।
আষাঢ়ের বৃষ্টিতে ভিজে গিয়ে ভাবি,
প্রকৃতির প্রেমে আজ হারালাম আমি,
এই ভিজে পথ, কাদামাখা ঘ্রাণ,
বলে – প্রকৃতিই জীবনের পরম জ্ঞান।
১১৩।
লতাগুল্মে ভরে ওঠে বন,
প্রকৃতি নিজে গড়ে আপন মন,
এই সবুজ চাদরে ঢাকা পৃথিবী,
দেয় আমাদের জীবন এক নতুন গীতি।
১১৪।
সূর্য যখন পাহাড়ের পিছে হারায়,
প্রকৃতির বুক চিরে সোনালি আলোর হাওয়া বয়,
এই দৃশ্য দেখে হৃদয় জেগে ওঠে,
সৃষ্টিকর্তার ছোঁয়া যেন হৃদয়ে ফোটে।
১১৫।
পথের ধারে ফুটে থাকা শিউলি ফুল,
প্রকৃতির প্রেম যেন স্নিগ্ধতা আর ভুল,
এই ঘ্রাণে মিশে থাকে কষ্টের স্মৃতি,
তবুও জীবন বলে – এই রূপই শ্রেষ্ঠ সঙ্গতি।
১১৬।
আকাশে উড়ে যায় পাখিদের দল,
প্রকৃতি শিখায় – মিলেমিশে চল,
এই উড়ান শুধু আকাশ জয় নয়,
বরং একসাথে থাকা, একটাই হৃদয়।
১১৭।
ক্লান্ত সন্ধ্যায় গাছের নিচে বসে,
প্রকৃতির নীরবতা জড়ায় হিমেল কপালে,
এই ছায়া জড়ানো ভালোবাসার দিন,
বলে – ফিরে এসো, আবার করো শুরু নতুন চিন।
১১৮।
চির সবুজের ছোঁয়ায় হৃদয় স্নিগ্ধ হয়,
প্রকৃতি শিখায় – আসল শান্তি এখানেই রয়,
এই নিঃশব্দ শিক্ষায় লুকানো শক্তি,
আমরা ভুলে যাই, প্রকৃতিই আসল ভক্তি।
১১৯।
ঝরে পড়া পাতার প্রতিটা শব্দে,
প্রকৃতি বলে – যেটা যায়, সেটাও প্রিয় রবে,
এই ক্ষণিক সুর, এই অতীত দৃশ্য,
হৃদয়ে ধরে রাখে প্রকৃতির আদর্শ।
১২০।
স্রোতের টানে গড়ে ওঠে নদীর দিক,
প্রকৃতি দেখায় – পরিবর্তনেই থাকে সঠিক,
এই স্রোত বহে সময়ের গান,
আমরা চলি, প্রকৃতিই দেয় দিক নির্দ্ধারণ।
১২১।
সূর্যের আলো যখন পড়ে পাতায়,
প্রকৃতির চোখে তখন চাঁদের ছায়া,
এই আলো-ছায়া মিশ্র দৃশ্যে,
জীবন জাগে এক নতুন বিশ্বাসে।
১২২।
ঘাসফুলের পাশে বসে ভাবি,
এই ছোট জিনিসে লুকিয়ে কত কবিতা লিখি,
প্রকৃতির ছোট ছোট জিনিসে,
মন পায় শান্তি, প্রেমের ইঙ্গিতে।
১২৩।
জলকাদায় হাঁটতে হাঁটতে দেখি,
প্রকৃতি আমায় বলে – ‘ভুলেও থেমো না সখি’,
এই চলার পথ কাঁদামাখা হোক,
তবুও জীবন এগিয়ে যাক নির্ভীক লোক।
১২৪।
শিমুলের লাল রঙে প্রকৃতি হাসে,
এই ফুল ফুটে যেমন প্রেম প্রকাশে,
মন বলে – এমন রঙ আমার হোক,
যা তোমার হৃদয়ে চিরকাল ফোটুক।
১২৫।
বৃষ্টির শব্দ যেন সৃষ্টির সুর,
প্রকৃতি তখন গায় প্রেমের মধুর,
এই রিমঝিম স্বরে মন ভিজে যায়,
তোমার স্মৃতিতে ভরে থাকে এই প্রণয় মায়।
১২৬।
মাঠের কোণে দাঁড়িয়ে সূর্যমুখী,
প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, নিজেই শিখি,
এই আলো পানে চেয়ে থাকা ফুল,
শিখায় – আশার আলো ছাড়ো না ভুল।
১২৭।
সন্ধ্যার আগুনরঙা আকাশে,
প্রকৃতির চিঠি যেন প্রেমের বাঁধনে বাঁধে,
এই মুহূর্ত বলে – থাকো কাছে,
চোখে চোখে প্রেম লিখি, নীরব ভাষে।
১২৮।
ঝরনার নিচে দাঁড়িয়ে কান পাতি,
প্রকৃতির ছন্দে হৃদয় বুনে পাটি,
এই শব্দহীন কথার বই,
শুধু প্রকৃতি বোঝে – মন কী চায় বলি।
১২৯।
নদীর তীরে বসে ছুঁই পাথর,
প্রকৃতি বলেই – সবকিছুই নয় অমর,
এই জলের ঢেউয়ে জীবন গড়ে ওঠে,
যা কাল চলে যায় – প্রকৃতিতেই রয়ে যায় তবুও।
১৩০।
পথের পাশের ঝোপঝাড়েও লুকায় স্বপ্ন,
প্রকৃতির মাঝে থাকে নিঃশব্দ মন্ত্র,
এই প্রতিটি পাতায় জেগে উঠে আশা,
জীবন মানে – প্রকৃতি আর ভালোবাসা।
১৩১।
ভোরের শিশির যখন গায়ে পড়ে,
প্রকৃতির স্পর্শে হৃদয় জেগে উঠে মধুর ছন্দে,
এই তাজা ঠান্ডা ছোঁয়ায় জাগে প্রাণ,
ভুলিয়ে দেয় যন্ত্রণা আর অতীতের বান।
১৩২।
তালগাছ দাঁড়িয়ে থাকে মাঠের কোণে,
প্রকৃতির দৃঢ়তা শেখায় প্রতিটি বীজে,
ঝড় হোক, ধেয়ে আসুক শত হাওয়া,
তবুও সে দাঁড়ায় – নত হয় না চাওয়া।
১৩৩।
চোখ বুজলে শুনি বাঁশির সুর,
প্রকৃতির মাঝে বাজে এক মায়াবী নূপুর,
এই সুর ছুঁয়ে যায় অতল হৃদয়,
যেখানে শব্দের চেয়েও গভীর শান্তি রয়।
১৩৪।
নীল আকাশে উড়ে মেঘের খেলা,
প্রকৃতির মনে যেন রঙের মেলা,
এই রূপ দেখে মন করে চিৎকার,
প্রকৃতির প্রেমেই পৃথিবী অসাধারণ বারবার।
১৩৫।
ঝরা পাতার নিচে থাকে জীবনের গল্প,
প্রকৃতি জানে হারানো স্বপ্নের আবলম্ব,
এই নিঃশব্দ ঝরায় লুকিয়ে বার্তা,
সবকিছু শেষ হলেও, শুরু হয় আবার যাত্রা।
১৩৬।
চাঁদের আলোয় নদী যখন ঝিকিমিকি,
প্রকৃতি আঁকে সেই প্রেমের দৃশ্যাবলী,
এই নির্জন জলে জোছনার হাসি,
মন বলে – এই ভালোবাসাই তো চিরন্তনী।
১৩৭।
জোছনায় ভেজা মাঠের ধারে,
প্রকৃতি গায় ভালোবাসার নরম সুরে,
এই আলোতে হারায় পৃথিবীর ক্লান্তি,
শুধু রয়ে যায় একটুকরো শান্তি।
১৩৮।
মাঠের পাখি উড়ে যায় গোধূলি বেলা,
প্রকৃতির গল্প তারা পাখায় মেলে খেলা,
এই উড়ান বলে – বেঁচে থাকাই শ্রেষ্ঠ,
সীমাহীন আকাশেই থাকে জীবনের রথ।
১৩৯।
ফুলের সুবাসে মন মাতাল হয়,
প্রকৃতি ছুঁয়ে দেয় হৃদয় ছায়াময়,
এই গন্ধে মিশে যায় ভালোবাসা,
বলে – “প্রেম মানে প্রকৃতির ভাষা।”
১৪০।
গভীর জঙ্গলে যখন বৃষ্টি নামে,
প্রকৃতি গায় বেদনার শান্ত অনুরাগে,
এই শব্দে মিশে থাকে প্রকৃতির কান্না,
জানায় – কখনো হাসি, কখনো মেঘ-ভরা যাত্রা।
১৪১।
পাহাড়ের ধাপে ধাপে মেঘের বাড়ি,
প্রকৃতি রাখে সৌন্দর্য ঢেকে মায়ায় আঁকড়ে ধরি,
এই নীরব নিসর্গের ভেতর,
লুকিয়ে থাকে পৃথিবীর সেরা জয়গান।
১৪২।
সূর্য যখন উদয় হয় নতুন আশায়,
প্রকৃতি বলে – “চলো, শুরু হোক পথ চলায়,”
এই নতুন আলো জাগায় বিশ্বাস,
যেখানে মন পায় শান্তির নিঃশ্বাস।
১৪৩।
সাগরের ঢেউয়ে বাজে প্রকৃতির গান,
এই গর্জনে মিশে থাকে মুক্তি ও মান,
সেই বিশাল ঢেউ শিখায় সাহস,
যা জীবনেও দরকার – বেঁচে থাকার বিশ্বাস।
১৪৪।
ঝরনার পাশে বসে যখন চিন্তা করি,
প্রকৃতি তখন বলে – “শান্তির পথ ধরি,”
এই জলধারার মতো করে চলি,
মন বলে – আর কিচ্ছু চাই না বলি।
১৪৫।
পাথরের গায়ে গাছ যখন গজায়,
প্রকৃতি জানায় – চেষ্টায় জীবন গড়ে যায়,
এই শিখন হৃদয়ে রেখো চিরকাল,
যেখানে বাধা মানেই হয় না ব্যর্থতার জাল।
১৪৬।
দিগন্তে সূর্য যখন অস্ত যায়,
প্রকৃতি তখন এক প্রেমের ছায়া ছড়ায়,
এই শেষ আলো শিখায় – বিদায়েও থাকে রঙ,
তাই বিদায় মানে নয় সব কিছু ভাঙা ঢঙ।
১৪৭।
শীতের সকালে কুয়াশায় ঢাকা পথ,
প্রকৃতি জানায় – সামনে আছে আলোর রথ,
এই ঠান্ডায়ও রয়েছে উষ্ণতা,
যদি তুমি খুঁজে পাও হৃদয়ের সত্যতা।
১৪৮।
সবুজ গাছের নিচে বসে শুনি,
প্রকৃতির সুর যেন নিরব এক বীণার ধ্বনি,
এই সুরে গেঁথে যাক জীবন,
যেখানে প্রকৃতি আর মন একই বন্ধন।
১৪৯।
সন্ধ্যার তারা জ্বলে যখন আকাশ জুড়ে,
প্রকৃতি তখন ভালোবাসা বুনে চুপিসারে,
এই আকাশের নিচে তুমি-আমি,
ভুলে যাই সব, শুধু প্রকৃতির কবিতা লিখি।
১৫০।
মাটির গন্ধে মিশে যায় অতীত,
প্রকৃতি বলে – “সব ফিরে আসে নিঃশব্দে চিরপ্রতীত,”
এই ঘ্রাণে জেগে ওঠে স্মৃতির আলো,
প্রকৃতির কোলে হারায় ক্লান্তি আর জ্বালা।
আশা করি আমাদের আজকের এই পোষ্ট পরার আপনারা সবাই আজকের এই প্রকৃতি নিয়ে কবিতা ক্যাপশন গুলো পেয়ে গেছেন। এগুলো সম্পর্কে আপনাদের মনে কোনো প্রশ্ন থাকলে সেটা চাইলে কমেন্ট এর মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন।
এছাড়াও চাইলে আপনাদের যদি আরোও কোনো কিছু জানার থাকে তাহলে সেটাও চাইলে কমেন্ট এ জানাতে পারেন। সবাই ভালো থাকবেন।