২০০+ সম্মান নিয়ে ইসলামিক উক্তি দেখে নিন

আপনি কি এই সম্মান নিয়ে ইসলামিক উক্তি জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের এই পোষ্ট আপনার জন্যই লেখা হয়েছে। এখানে আপনাদের সাথে আমরা অনেকগুলো সুন্দর সুন্দর ও আকর্ষনীয় সম্মান নিয়ে ইসলামিক উক্তি নিয়ে আলোচনা করব।

সম্মান আল্লাহর এক মহান দান, যা তিনি যাকে ইচ্ছা দেন এবং যাকে ইচ্ছা অপসারণ করেন। দুনিয়ার সম্মান ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু তাকওয়াভিত্তিক সম্মান চিরস্থায়ী। আসুন, সম্মান সম্পর্কে কিছু মূল্যবান ইসলামিক উক্তি পড়ি, যা আমাদের অন্তরে আলোক ছড়াবে এবং সঠিক পথের দিশা দেবে।

সম্মান নিয়ে ইসলামিক উক্তি

নিচে সুন্দরভাবে আপনাদের জন্য এই সম্মান নিয়ে ইসলামিক উক্তি গুলো তুলে ধরা হলো। এখানে সবগুলো সম্মান নিয়ে ইসলামিক উক্তি খুব সুন্দরভাবে আপনাদের জন্য সাজিয়ে দেওয়া হলোঃ

 ✅📜 “একজন মুসলিমের সম্মান তার ঈমান ও নেক আমলের উপর নির্ভরশীল, সম্পদের উপর নয়।”

✅ “যদি তুমি মানুষের কাছ থেকে সম্মান আশা করো, তবে তুমি কখনো তা পাবে না। কিন্তু যদি তুমি কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করো, তবে সম্মান নিজেই তোমার কাছে চলে আসবে। কারণ দুনিয়াবি সম্মান ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু আল্লাহর দেওয়া সম্মান চিরস্থায়ী।”

✅ “সম্মান এমন এক জিনিস যা জোর করে আদায় করা যায় না, এটি অর্জন করতে হয়। তুমি যদি মানুষের প্রতি সদয় হও, তাদের দুঃখ-কষ্ট বোঝার চেষ্টা করো, তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করো, তবে আল্লাহ তোমাকে সম্মানিত করবেন।”

✅ “কেউ যদি তোমাকে কটাক্ষ করে, তবু তুমি তাকে সম্মান করো। কারণ সত্যিকারের মুসলমান অন্যের খারাপ আচরণের প্রতিদান ভালো আচরণ দিয়ে দেয়। আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরা যদি ভালো আচরণ করো, তবে তোমাদের প্রতিদান হবে তার চেয়ে উত্তম।’ (সুরা কাসাস: )”

✅ 📖 “মানুষ যদি জানত, দুনিয়ার সম্মান কত ক্ষণস্থায়ী, তবে তারা কেবল আখিরাতের সম্মানের জন্য দৌড়াতো।”

✅ “মানুষের মধ্যে প্রকৃত সম্মানিত সেই, যে আল্লাহর পথে ধৈর্য ধারণ করে এবং তাঁর দেওয়া পরীক্ষাকে হাসিমুখে মেনে নেয়। কারণ ধৈর্যশীল ব্যক্তিদের জন্য রয়েছে জান্নাতে অনন্ত সম্মান।”

✅ “যে ব্যক্তি নিজের জিহ্বাকে সংযত রাখে এবং মানুষকে সম্মান করে, সে আল্লাহর দৃষ্টিতে শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করে। কারণ নবী (সাঃ) বলেছেন: ‘যে ব্যক্তি অন্যের সম্মান রক্ষা করে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার সম্মান রক্ষা করবেন।'”

✅ “সত্যিকারের সম্মান টাকা-পয়সা, ক্ষমতা বা খ্যাতিতে নয়, বরং আল্লাহর সন্তুষ্টিতে। কারণ যার সঙ্গে আল্লাহ আছেন, তার সম্মান কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।”

✅ “যে ব্যক্তি নিজের জিহ্বাকে সংযত রাখে এবং কারও প্রতি কটূক্তি করে না, সে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত হয়। কারণ মহানবী (সাঃ) বলেছেন: ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাসী, সে যেন ভালো কথা বলে অথবা চুপ থাকে।'”

✅ 📜 “সম্মান কেবল তারাই পায়, যারা অন্তরে আল্লাহর ভয় রাখে এবং তাঁর নির্দেশ পালন করে। যারা দুনিয়ার লোকদের দ্বারা সম্মান আশা করে, তারা অন্ততঃকালের জন্য প্রতারিত হয়।”

✅ “সম্মান যদি সম্পদে হতো, তাহলে কারুন সর্বাধিক সম্মানিত হতো; যদি রাজত্বে হতো, তাহলে ফিরআউন শ্রেষ্ঠ গণ্য হতো; কিন্তু প্রকৃত সম্মান তাকওয়ায়, তাই রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে সর্বাধিক সম্মানিত সেই ব্যক্তি, যার তাকওয়া সর্বোচ্চ।'” (সূরা হুজরাত: )

✅ “সত্যবাদী ব্যক্তি দুনিয়াতেও সম্মানিত হয়, আখিরাতেও। কারণ আল্লাহ বলেন: ‘সত্যবাদীদের জন্য রয়েছে জান্নাতে সুউচ্চ মর্যাদা।'”

✅ “একজন মানুষ যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তার রাগ দমন করে, তখন আল্লাহ তাকে এমন সম্মান দান করেন, যা অন্য কেউ দিতে পারে না।”

✅ “আল্লাহ যার অন্তরে ঈমানের আলো দেন, সে কখনোই দুনিয়ার ছোটোখাটো বিষয় নিয়ে অপমানিত বোধ করে না। কারণ তার আত্মবিশ্বাস আল্লাহর সঙ্গে সংযুক্ত, আর আল্লাহর সঙ্গে যার সম্পর্ক মজবুত, তাকে কেউ অপমান করতে পারে না।”

✅ “যে ব্যক্তি মানুষকে সম্মান দিতে জানে, সে নিজেও সম্মান লাভ করে। কারণ নবী করিম (সাঃ) বলেছেন: ‘তোমরা দয়া ও ভালো আচরণের মাধ্যমে মানুষের অন্তরে জায়গা করে নাও।'”

✅ “সত্যিকারের সম্মান কেবল আল্লাহর নিকট হতে আসে। কারণ নবী (সাঃ) বলেছেন: ‘যে ব্যক্তি দুনিয়ার মানুষের কাছে সম্মান লাভ করতে চায়, সে ব্যর্থ হয়। কিন্তু যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে সম্মান চায়, সে অবশ্যই তা লাভ করে।'”

✅ “যে ব্যক্তি মানুষের সম্মান রক্ষা করে, আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেন এবং দুনিয়ার মানুষ তাকে ভালোবাসতে বাধ্য হয়। কারণ সত্যিকারের মর্যাদা আসে আল্লাহর দয়া থেকে।”

✅ “যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য নিজের রাগ দমন করে, আল্লাহ তাকে দুনিয়ায় সম্মানিত করেন এবং আখিরাতে উত্তম প্রতিদান দেন। কারণ মহানবী (সাঃ) বলেছেন: ‘যে ব্যক্তি রাগ দমন করে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তাকে জান্নাতের সামনে দাঁড় করাবেন।'”

✅ “মানুষকে সম্মান করার প্রথম শর্ত হলো, তার সম্মানহানি না করা। কারণ ইসলাম আমাদের শেখায় যে, একজন মুসলমানের সম্মান, রক্ত ও সম্পদ সবই হারাম অন্য মুসলমানের জন্য।”

✅ “রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘মুসলমান সেই ব্যক্তি, যার হাত ও মুখ থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে।’ সম্মান শুধু মুখের কথা নয়, বরং কাজের মাধ্যমেও প্রকাশ পায়। অন্যকে অসম্মান করা মানেই নিজের আত্মাকে কলুষিত করা।”

✅ “নবী করিম (সাঃ) বলেছেন: ‘তোমাদের মধ্যে উত্তম সেই ব্যক্তি, যে তার স্ত্রীর প্রতি সদয় এবং সম্মান প্রদর্শন করে।’ তাই, যে ব্যক্তি নিজের পরিবারকে সম্মান করে, আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেন।”

✅ “কেউ যদি তোমাকে সম্মান না দেয়, তবুও তুমি অন্যকে সম্মান দাও। কারণ তুমি মানুষের জন্য সম্মান দাও না, তুমি আল্লাহর জন্য সম্মান দাও। যারা অন্যকে সম্মান দিতে জানে না, তারা নিজেরাই সম্মান হারিয়ে ফেলে।”

✅ 📖 “আল্লাহ বলেন, ‘সম্মান তো একমাত্র আল্লাহর, রাসূলের ও মুমিনদের জন্য।’ (সূরা মুনাফিকুন: ) এই আয়াত আমাদের শিখিয়ে দেয় যে, সত্যিকারের সম্মান কোনো পদমর্যাদা বা সম্পদের মধ্যে নেই, বরং যারা আল্লাহর বিধান মানে এবং রাসূল (ﷺ)-এর সুন্নাহ অনুসরণ করে, কেবল তারাই প্রকৃত সম্মানের অধিকারী।”

✅ “যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে জীবন উৎসর্গ করে, সে কখনো সম্মান হারায় না। কারণ শহীদদের জন্য রয়েছে জান্নাতে সম্মানের আসন।”

✅ “ইসলাম মানুষকে শিক্ষা দিয়েছে, সম্মান কেবল ধনসম্পদ কিংবা ক্ষমতার জন্য নয়, বরং তাকওয়া ও নৈতিকতার জন্য। যদি তুমি আল্লাহকে ভয় করো, তাঁর বিধান মেনে চলো, তবে মানুষ তোমাকে সম্মান করবে। যারা নিজেদের স্বার্থে অন্যের সম্মান নষ্ট করে, তারা দুনিয়া ও আখিরাতে লাঞ্ছিত হবে।”

✅ 📖 “দুনিয়ার সম্মান কেবল সময়ের ব্যাপার, কিন্তু যারা আল্লাহর জন্য বিনয়ী হয়, তারা চিরকালীন সম্মানিত হয়।”

✅ 📖 “আল্লাহর কাছে সবচেয়ে সম্মানিত সেই ব্যক্তি, যে দুনিয়ার তুচ্ছ সম্মানের পেছনে না ছুটে আল্লাহর আনুগত্যকে প্রাধান্য দেয়।”

✅ 📜 “দুনিয়ার সম্মান ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু যারা সত্যের পথে থাকে, তারা আখিরাতে চিরস্থায়ী সম্মান লাভ করবে।”

✅ 📜 “মানুষের সম্মান তার চরিত্রের মধ্যে নিহিত, বাহ্যিক সৌন্দর্যের মধ্যে নয়।”

✅ “নবী (সাঃ) বলেছেন: ‘যে ব্যক্তি ছোটদের প্রতি দয়া করে না এবং বড়দের সম্মান করে না, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।’ তাই ইসলাম আমাদের পারস্পরিক সম্মান প্রদর্শনের শিক্ষা দেয়।”

✅ “একজন সত্যিকারের মুমিন সেই, যে মানুষকে সম্মানিত করে এবং কাউকে ছোট করে না। কারণ নবী (সাঃ) বলেছেন: ‘তুমি যদি অন্যের সম্মান করো, তবে আল্লাহ তোমাকে সম্মানিত করবেন।'”

✅ “যে ব্যক্তি অন্যের ভুলত্রুটি ক্ষমা করে, আল্লাহ তার সম্মানকে বাড়িয়ে দেন। কারণ ক্ষমাশীলতা আল্লাহর অন্যতম গুণ, এবং তিনি ক্ষমাশীলদের ভালোবাসেন।”

✅ “যে ব্যক্তি পিতা-মাতার প্রতি সদয় হয়, সে দুনিয়ায় সম্মান লাভ করে এবং আখিরাতে জান্নাতের সুউচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়। কারণ পিতা-মাতার সন্তুষ্টিতে রয়েছে আল্লাহর সন্তুষ্টি।”

✅ “যে ব্যক্তি জ্ঞানীদের সম্মান করে, আল্লাহ তার অন্তরে নূর দান করেন। কারণ জ্ঞান আল্লাহর এক মহান দান, এবং যে জ্ঞানীদের সম্মান করে, সে জ্ঞানের মর্যাদা বোঝে।”

✅ “যে ব্যক্তি শিক্ষকদের সম্মান করে, সে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত হয়। কারণ জ্ঞান হল নূর, আর যিনি জ্ঞান বিতরণ করেন, তিনি আল্লাহর বিশেষ দানপ্রাপ্ত।”

✅ “যে ব্যক্তি গোপনে সাদাকা দেয়, আল্লাহ তাকে প্রকাশ্যে সম্মানিত করেন। যে ব্যক্তি মানুষের সাথে ন্যায়বিচার করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের উচ্চ মর্যাদা নির্ধারণ করেন।”

✅ “নবী করিম (সাঃ) বলেছেন: ‘সবচেয়ে ভালো মুসলিম সেই, যার হাত ও মুখ থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে।’ যে ব্যক্তি অন্যের প্রতি দয়া ও সম্মান প্রদর্শন করে, সে আল্লাহর রহমত লাভ করে।”

✅ 📜 “মানুষকে দয়া ও সম্মান করা ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা।”

✅ “যে ব্যক্তি আল্লাহর বিধান মেনে চলে এবং গুনাহ থেকে দূরে থাকে, সে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত হয়। কারণ আল্লাহ বলেন: ‘যারা আল্লাহর পথে চলে, আমি তাদের সম্মান বৃদ্ধি করি।'”

✅ “সত্যিকারের সম্মান কেবল তাকওয়ার মধ্যে। যার অন্তরে আল্লাহভীতি আছে, সে আল্লাহর কাছে সম্মানিত এবং তার জীবন শান্তিময় হয়। কারণ আল্লাহ বলেন: ‘তাকওয়াই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ সম্মানের মানদণ্ড।'”

✅ “একজন জ্ঞানী ব্যক্তি বলেছেন: ‘যে অন্যের সম্মান রক্ষা করে, সে নিজের সম্মানও রক্ষা করতে জানে। কারণ সম্মান এমন একটি আমানত, যা বিনিময়ে সম্মানই এনে দেয়।'”

✅ “যে ব্যক্তি মিথ্যা, প্রতারণা ও ধোঁকাবাজি থেকে দূরে থাকে, সে প্রকৃত সম্মান লাভ করে। কারণ আল্লাহ বলেন: ‘আমি সত্যবাদীদের সম্মানিত করি এবং মিথ্যাবাদীদের লাঞ্ছিত করি।'”

✅ “আল্লাহ যাকে ইজ্জত দেন, দুনিয়ার কেউ তাকে লাঞ্ছিত করতে পারে না। আর আল্লাহ যাকে লাঞ্ছিত করেন, দুনিয়ার কেউ তাকে সম্মানিত করতে পারে না। কারণ সম্মান ও অপমান দুটিই একমাত্র আল্লাহর হাতে, তিনি যার ইচ্ছা তাকে সম্মানিত করেন এবং যার ইচ্ছা তাকে হীন করেন।” (সূরা আলে ইমরান 🙂

✅ “যে ব্যক্তি ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে আল্লাহর কাছে নিজেকে নিবেদন করে, আল্লাহ তার মর্যাদা এমনভাবে বাড়িয়ে দেন, যা মানুষ কল্পনাও করতে পারে না। কারণ দুনিয়ার রাজা-বাদশারা নয়, বরং আল্লাহই প্রকৃত সম্মানের দাতা।”

✅ 📜 “যে ব্যক্তি বিনয়ী, আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেন; আর যে অহংকারী, তার সম্মান ধূলিসাৎ হয়ে যায়।”

✅ 📜 “আল্লাহর অনুগ্রহ ব্যতীত কোনো ব্যক্তি সম্মানিত হতে পারে না, এবং আল্লাহ যাকে লাঞ্ছিত করেন, কেউ তাকে সম্মান দিতে পারে না।” (সূরা আলে ইমরান: )

✅ 📜 “যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেন, আর যে অহংকার করে, আল্লাহ তাকে নিচু করে দেন।”

✅ “যে ব্যক্তি অন্যের সম্মান রক্ষা করে, সে কিয়ামতের দিন আল্লাহর ছায়ায় স্থান পাবে। কারণ নবী (সাঃ) বলেছেন: ‘যে ব্যক্তি দুনিয়ায় মানুষের ইজ্জত রক্ষা করে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার ইজ্জত রক্ষা করবেন।'”

✅ “যে ব্যক্তি মানুষের অধিকার রক্ষা করে এবং ন্যায়বিচারের পক্ষে কথা বলে, আল্লাহ তার জন্য রহমত বর্ষণ করেন। কারণ ইসলামে ন্যায়পরায়ণতাই প্রকৃত সম্মানের উৎস।”

✅ 📜 “দুনিয়ার সম্মান ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য চেষ্টা করে, তারা জান্নাতে চিরস্থায়ী সম্মান লাভ করবে।”

✅ “সম্মান পাওয়ার সহজতম উপায় হলো— অন্যকে সম্মান করা। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা যা চাইবে, তা অন্যদের জন্যও কামনা করো।’ তুমি যদি সম্মান পেতে চাও, তাহলে অন্যদের সম্মান দিতে শেখো।”

✅ 📜 “যে ব্যক্তি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ইবাদত করে, সে নিজের সম্মান ধ্বংস করছে।”

✅ 📖 “তাকওয়া ও ইখলাস ছাড়া কোনো সম্মানই টিকে না। দুনিয়াতে তুমি যত বড়ই হও না কেন, যদি তোমার অন্তর আল্লাহর আনুগত্যে না হয়, তবে তোমার সম্মান ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।”

✅ 📜 “যারা আল্লাহর স্মরণে থাকে, তাদের অন্তর আল্লাহ সম্মানিত করেন এবং তাদের মুখ থেকে এমন কথা বের হয়, যা সবাই গ্রহণযোগ্য মনে করে।”

✅ “যে ব্যক্তি ইখলাসের (বিশুদ্ধ নিয়তের) সাথে আমল করে, সে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত হয়। কারণ আল্লাহ বলেন: ‘আমার জন্য যে কাজ করে, আমি তাকে সম্মানিত করি।'”

✅ 📖 “কেউ যদি চায় যে, দুনিয়াতে সম্মানিত হবে, তাহলে সে যেন আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে চলে। মানুষ যাদের সম্মান দেয়, তা দুনিয়ার কৃত্রিম মোহ, কিন্তু আল্লাহ যাকে সম্মান দেন, সে আখিরাতেও মর্যাদার আসনে থাকবে।”

✅ 📜 “যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেন, আর যে অহংকার করে, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।” (সহিহ মুসলিম)

✅ 📜 “একজন প্রকৃত মুসলিম তার কথা, আচরণ এবং চরিত্র দিয়ে অন্যদের সম্মানিত করে।”

✅ “যে ব্যক্তি নিজের মর্যাদা বৃদ্ধি করতে চায়, সে যেন অন্যের সম্মানহানি না করে। কারণ আল্লাহ বলেন, ‘আমি যার মর্যাদা দেই, কেউ তাকে অপমান করতে পারে না।’ (সুরা আল ইমরান) তাই, সম্মান পাওয়ার জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করা উচিত, মানুষের কাছ থেকে জোর করে আদায় করা নয়।”

✅ 📜 “আল্লাহ যাকে সম্মান দেন, সে সত্যিকারের সম্মানিত; আর মানুষ যাকে সম্মান দেয়, সে সাময়িক সময়ের জন্য সম্মানিত হয়।”

✅ “যে ব্যক্তি আল্লাহর রাসূল (সাঃ)-এর আদর্শ অনুসরণ করে, সে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত হয়। কারণ রাসূল (সাঃ)-এর চরিত্রই ছিল সর্বোত্তম, এবং তাঁর অনুসরণই প্রকৃত মর্যাদা এনে দেয়।”

✅ “সম্মান পাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো— অন্যের প্রতি দয়া ও নম্রতা প্রদর্শন করা। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘নম্রতা মানুষকে সম্মানিত করে, আর অহংকার মানুষকে লাঞ্ছিত করে।’ যারা অন্যকে অসম্মান করে, তারা দুনিয়া ও আখিরাতে অপমানিত হবে।”

✅ 📜 “মানুষ যখন নিজের অহংকার ভেঙে ফেলে, তখন আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেন।”

✅ 📜 “যে ব্যক্তি নিজেকে দুনিয়ার মানুষের চেয়ে শ্রেষ্ঠ মনে করে, সে আল্লাহর দৃষ্টিতে সবচেয়ে নীচু; আর যে নিজেকে নীচু মনে করে, আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেন।”

✅ “আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন— ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে সম্মানিত সে ব্যক্তি, যে সবচেয়ে বেশি তাকওয়াবান।’ (সুরা হুজুরাত: ) সুতরাং, সম্মানের প্রকৃত মানদণ্ড ধনসম্পদ নয়, বরং তাকওয়া ও আল্লাহভীতি।”

✅ “যে ব্যক্তি কষ্টদায়ক কথা এড়িয়ে চলে এবং অন্যের প্রতি সদয় আচরণ করে, সে মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসার স্থান তৈরি করে। কারণ নবী (সাঃ) বলেছেন: ‘সুন্দর চরিত্রই মানুষের প্রকৃত সম্মান বৃদ্ধি করে।'”

✅ “যার অন্তরে কেবল আল্লাহর ভয় আছে, সে ব্যক্তি কখনো সম্মান হারায় না। কারণ আল্লাহ বলেন: ‘যে ব্যক্তি আমার কাছে আশ্রয় চায়, আমি তাকে নিরাপদ রাখি এবং সম্মানিত করি।'”

✅ “সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য একে অপরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা অপরিহার্য। ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে, সম্মান মানুষকে একত্রিত করে, আর অসম্মান সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করে। যে ব্যক্তি মানুষকে অসম্মান করে, সে কখনো ভালো ফল পাবে না।”

✅ 📖 “যে ব্যক্তি সম্মান চায়, অথচ তার অন্তরে অহংকার লুকিয়ে থাকে, সে আল্লাহর দৃষ্টিতে সবচেয়ে লাঞ্ছিত ব্যক্তি। কেননা, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেন, আর যে অহংকার করে, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।’ (সহিহ মুসলিম)”

✅ “ইসলামে সব মানুষের সম্মান সংরক্ষণের শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। কুরআনে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আমরা আদম সন্তানকে সম্মানিত করেছি।’ (সুরা আল-ইসরাঃ ) তাই, অন্যকে অবজ্ঞা করা বা অপমান করা মানে আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা।”

✅ “সত্যিকারের সম্মান ধন-সম্পদের আধিক্যে নয়, বরং তাকওয়ার গভীরতায়। তুমি যদি আল্লাহকে ভয় করো, তবে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত হবে। কারণ আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে সম্মানিত সেই ব্যক্তি, যে সর্বাধিক মুত্তাকি।'” (সূরা হুজুরাত 🙂

✅ “সম্মান শুধু ধনী, প্রভাবশালী বা ক্ষমতাবানদের জন্য নয়, বরং এটি প্রতিটি মানুষের অধিকার। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘কোনো মুসলমান ভাইকে তুচ্ছ জ্ঞান করা যথেষ্ট বড় অন্যায়।’ ইসলামের শিক্ষা হলো— সবার প্রতি সমান সম্মান প্রদর্শন করা।”

✅ 📜 “আল্লাহ বলেন, ‘আমি সম্মান দেই কেবল তাকওয়াবানদের। তোমরা মানুষকে দেখে সম্মান দিও না, বরং তাকওয়ার ভিত্তিতে দিও।'”

✅ “যে ব্যক্তি আল্লাহর পথ অবলম্বন করে, তার জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মান নির্ধারিত। কারণ আল্লাহ বলেন: ‘নিশ্চয়ই যারা আমার পথে ধৈর্য ধরে, আমি তাদের প্রতিদান দিবো।'” (সূরা আনফাল 🙂

✅ 📜 “প্রকৃত সম্মান তারাই লাভ করে, যারা নিজের অহংকার ভেঙে আল্লাহর আনুগত্য করে চলে।”

✅ 📜 “যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেন, আর যে অহংকার করে, সে নিজের সম্মান ধ্বংস করে।”

✅ 📖 “যে ব্যক্তি অন্যকে সম্মান দেয়, সে নিজেও সম্মান লাভ করে।”

✅ “মানুষের মাঝে সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি সেই, যে বিনয়ী হয়েও শক্তিশালী, ক্ষমতাবান হয়েও ন্যায়পরায়ণ এবং দীনদার হয়েও অহংকার মুক্ত। আল্লাহ তার সম্মানকে অটুট রাখেন এবং তাকে জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা দান করেন।”

✅ “সম্মান একবার হারিয়ে গেলে তা আর সহজে ফিরে আসে না। তাই, অন্যকে অপমান করার আগে ভাবো, যদি কেউ তোমাকে সেই একইভাবে অসম্মান করতো, তাহলে কেমন লাগতো? ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে, ভালোবাসা ও সম্মানই শান্তি প্রতিষ্ঠার মূল চাবিকাঠি।”

✅ “সত্যিকারের সম্মান আসে তাকওয়া থেকে। কারণ মহান আল্লাহ কুরআনে বলেন: ‘তোমাদের মধ্যে আল্লাহর দৃষ্টিতে সবচেয়ে সম্মানিত সে, যে সবচেয়ে বেশি মুত্তাকি।'” (সূরা আল-হুজুরাত 🙂

✅ “যে ব্যক্তি গরিব, এতিম ও অসহায়দের সম্মান করে এবং তাদের পাশে দাঁড়ায়, সে প্রকৃত সম্মান লাভ করে। কারণ আল্লাহ বলেন: ‘তোমরা এতিমদের প্রতি সদয় হও এবং গরিবদের প্রতি দয়া করো।’”

✅ “যে ব্যক্তি গরিব ও অসহায়দের সম্মান করে, সে আল্লাহর কাছে সম্মানিত হয়। কারণ দুনিয়ার সম্পদ, খ্যাতি ও শক্তি প্রকৃত সম্মানের উৎস নয়, বরং মানবিকতা ও দীনদারিই প্রকৃত সম্মান আনে।”

✅ “অহংকার মানুষকে ধ্বংস করে, আর বিনয় মানুষকে সম্মানিত করে। তাই, যার চরিত্রে বিনয় আছে, আল্লাহ তার মর্যাদাকে বাড়িয়ে দেন, আর যে অহংকার করে, আল্লাহ তাকে অপমানিত করেন।”

✅ 📜 “দুনিয়ার লোভীদের সম্মান সাময়িক, কিন্তু যারা আখিরাতের চিন্তা করে, তাদের সম্মান চিরস্থায়ী।”

✅ “মানুষের মধ্যে সেই ব্যক্তি প্রকৃত সম্মানিত, যে দুনিয়ার লোভ-লালসা থেকে মুক্ত থেকে শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করে। কারণ সত্যিকারের সম্মান আল্লাহর সন্তুষ্টির মধ্যেই রয়েছে।”

✅ 📖 “একজন মানুষকে দুনিয়া যতই সম্মান দিক, যদি তার অন্তরে আল্লাহভীতি না থাকে, তবে সে আল্লাহর কাছে মূল্যহীন। কিন্তু একজন সাধারণ মানুষও যদি আল্লাহভীরু হয়, তবে সে আল্লাহর দৃষ্টিতে সম্মানিত ও মর্যাদাশালী।”

✅ 📖 “মানুষের বাহ্যিক সম্মান ধোঁকার কিছুই নয়, আসল সম্মান হলো, আল্লাহর কাছে একজন বান্দার মর্যাদা। তাই কেবল দুনিয়ার সম্মান নিয়ে অহংকার কোরো না, বরং আখিরাতের সম্মান অর্জনের চেষ্টা করো।”

✅ “রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে উত্তম সেই ব্যক্তি, যে তার স্ত্রীর প্রতি উত্তম আচরণ করে।’ সত্যিকারের সম্মান শুধু বাহ্যিক সৌজন্যতা নয়, বরং এটি আমাদের প্রতিদিনের আচরণে প্রকাশ পায়। পরিবারে, সমাজে ও কর্মক্ষেত্রে সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমেই ইসলামের সৌন্দর্য প্রকাশিত হয়।”

✅ “ইসলামে অন্য ধর্মের লোকদেরও সম্মান করতে বলা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা তাদের উপাস্যদের গালি দিও না, যেন তারা অজ্ঞতার কারণে আল্লাহকে গালি না দেয়।’ (সুরা আন’আমঃ ) তাই, প্রকৃত মুসলমান কখনো অন্যকে অসম্মান করে না।”

✅ “ইসলাম আমাদের শিক্ষা দিয়েছে, সম্মান কেবল উচ্চবংশীয়দের জন্য নয়, বরং এটি প্রতিটি মানুষের প্রাপ্য। আল্লাহ বলেন, ‘তাকওয়াবানরাই আল্লাহর কাছে সবচেয়ে সম্মানিত।’ (সুরা হুজুরাতঃ ) তাই, কেবলমাত্র আল্লাহভীরুতা ও সৎকর্মই প্রকৃত সম্মান অর্জনের উপায়।”

✅ “রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা ছোটদের স্নেহ করো এবং বড়দের সম্মান করো।’ সত্যিকারের মুসলমান কখনো কাউকে অবজ্ঞা করতে পারে না, সে সর্বদা সকলের সম্মান রক্ষা করে চলে। কারণ আল্লাহ যাকে সম্মানিত করেছেন, মানুষ কীভাবে তাকে অপমানিত করতে পারে?”

✅ “যে ব্যক্তি তার পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করে, সে দুনিয়ায় সম্মানিত হয় এবং আখিরাতে জান্নাতের সুউচ্চ মর্যাদা লাভ করে। কারণ নবী (সাঃ) বলেছেন: ‘পিতা-মাতার প্রতি সদাচার জান্নাতের অন্যতম চাবিকাঠি।'”

✅ “যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে এবং সব সময় ন্যায়ের পথে চলে, তার সম্মান কেউ কেড়ে নিতে পারে না। কারণ আল্লাহ বলেন: ‘যারা আমার ওপর তাওয়াক্কুল করে, আমি তাদের জন্য যথেষ্ট।'” (সূরা আত-তালাক 🙂

✅ “যে ব্যক্তি সম্মান পাওয়ার জন্য লালায়িত, সে কখনো প্রকৃত সম্মান অর্জন করতে পারে না। প্রকৃত সম্মান আসে দীনদারির মাধ্যমে, আল্লাহর আনুগত্যের মাধ্যমে। যে ব্যক্তি নিজেকে ছোট মনে করে, আল্লাহ তাকে বড়ত্ব দান করেন।”

✅ 📜 “যে ব্যক্তি মানুষের কাছে সম্মান চায়, অথচ আল্লাহর আনুগত্য করে না, সে ধোঁকায় আছে। প্রকৃত সম্মান কেবল আল্লাহর বিধান মানার মধ্যেই নিহিত।”

✅ “যে ব্যক্তি দুনিয়ার সম্মানের চেয়ে আখিরাতের সম্মান বেশি কামনা করে, আল্লাহ তাকে এই দুনিয়াতেও সম্মানিত করেন এবং আখিরাতেও উচ্চ মর্যাদা দেন।”

✅ “নবী (সাঃ) বলেছেন: ‘একজন মুসলমানের সম্পদ, জীবন ও সম্মান আরেক মুসলমানের জন্য হারাম।’ তাই প্রকৃত মুমিন কখনো অন্যের সম্মানহানি করতে পারে না।”

✅ 📖 “তুমি যদি সম্মান পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করো, তবে দুনিয়ার মানুষের চোখের দিকে তাকিও না, বরং আকাশের দিকে তাকাও এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কাজ করো। কেননা আল্লাহ যাকে সম্মান দেন, দুনিয়ার কেউ তাকে অপমান করতে পারে না, আর আল্লাহ যাকে অপমান করেন, কেউ তাকে সম্মান দিতে পারবে না।”

✅ “ইসলাম শিক্ষা দেয়, কাউকে তার গরিবি, জাত, গোত্র বা চেহারার কারণে অসম্মান করা মহা অন্যায়। মহানবী (সাঃ) বিদায় হজ্জের ভাষণে বলেছেন, ‘কোনো আরবির উপর অনারবির এবং কোনো অনারবির উপর আরবির শ্রেষ্ঠত্ব নেই, যদি সে তাকওয়াবান না হয়।’”

✅ “ইসলামে মাতা-পিতার সম্মানের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমার প্রতিপালক আদেশ করেছেন যে, তোমরা তাঁকে ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করবে না এবং পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ) তাই, যারা পিতামাতাকে সম্মান করে না, তারা দুনিয়া ও আখিরাতে লাঞ্ছিত হবে।”

✅ 📜 “সম্মান অর্জনের জন্য ক্ষমা করতে জানতে হয়, প্রতিশোধ নিতে নয়।”

✅ 📖 “সম্মান কখনো চিৎকার করে আদায় করা যায় না, বরং চরিত্র ও আচরণ দিয়ে অর্জন করতে হয়।”

✅ “যে ব্যক্তি আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলে, সে দুনিয়ার রাজাদের থেকেও সম্মানিত হয়। কারণ দুনিয়ার সম্মান ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু আল্লাহর দেওয়া সম্মান চিরস্থায়ী।”

✅ “ইসলাম মানুষকে শিক্ষা দিয়েছে, যে নিজেকে বড় মনে করে এবং অন্যকে ছোট মনে করে, আল্লাহ তাকে অপমানিত করবেন। যে অন্যের প্রতি দয়া ও সম্মান প্রদর্শন করে, আল্লাহ তাকে সম্মানিত করবেন। দুনিয়ার মানুষ একদিন ভুলে যাবে, কিন্তু আল্লাহর দরবারে তার মর্যাদা অক্ষত থাকবে।”

✅ “যে ব্যক্তি দুনিয়ার সম্মানের পরিবর্তে আখিরাতের সম্মান কামনা করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের উচ্চ মর্যাদা নির্ধারণ করেন। কারণ প্রকৃত সম্মান দুনিয়ার নয়, বরং আখিরাতের।”

✅ “মানুষের সত্যিকারের মূল্য তার ধন-সম্পদ কিংবা বাহ্যিক সৌন্দর্যে নয়, বরং তার চরিত্রে। যে মানুষ সম্মান দিতে জানে, সে সম্মান পাওয়ার যোগ্য। আল্লাহর কাছে সম্মানিত হতে চাইলে আগে মানুষের কাছে সম্মানিত হওয়া শিখতে হবে।”

✅ “মানুষের সম্মান তার পোশাক বা সম্পদে নয়, বরং তার ঈমান ও আমলে। যে ব্যক্তি খাঁটি ঈমানদার, সে আল্লাহর দৃষ্টিতে সর্বোচ্চ সম্মানিত ব্যক্তি।”

✅ “সম্মান ধন-সম্পদের জন্য নয়, বরং উত্তম চরিত্রের জন্য। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘সবচেয়ে উত্তম ব্যক্তি সেই, যার চরিত্র সবচেয়ে সুন্দর।’ যার চরিত্র ভালো, সে সবার কাছে সম্মানিত হয়, দুনিয়া ও আখিরাতে তার জন্য সম্মান নির্ধারিত থাকে।”

✅ 📜 “যে নিজের ভুল স্বীকার করতে জানে, সে প্রকৃত সম্মানিত ব্যক্তি।”

✅ “একজন সত্যিকারের মুমিন সেই, যে নিজের জন্য যা পছন্দ করে, তা-ই অন্য ভাইয়ের জন্যও পছন্দ করে। কারণ পারস্পরিক ভালোবাসা ও সম্মান ছাড়া ঈমান পূর্ণতা পায় না।”

✅ 📜 “বিনয় ছাড়া সম্মান কল্পনাও করা যায় না। আল্লাহ বলেন, ‘আমি বিনয়ীদের ভালোবাসি এবং অহংকারীকে লাঞ্ছিত করি।'”

✅ “যে ব্যক্তি আল্লাহর আদেশ মানে, নবী (সাঃ)-এর সুন্নাহ অনুসরণ করে এবং মানুষের প্রতি দয়ালু হয়, সে প্রকৃত সম্মানিত। কারণ আল্লাহ বলেন: ‘যারা আমার রাসূলের অনুসরণ করে, আমি তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করি।'”

✅ 📖 “বিনয় ছাড়া সম্মান অসম্ভব। রাসূল (ﷺ) ছিলেন সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি, কারণ তিনি সবচেয়ে বিনয়ী ছিলেন।”

✅ 📜 “যে বিনয়ী হয়, সে প্রকৃত জ্ঞানী, আর যে অহংকারী হয়, সে মূর্খ।”

✅ 📜 “মানুষের সম্মান তোমার হাতের নয়, তোমার নেক আমলের উপর নির্ভর করে।”

✅ 📖 “মানুষ যদি আল্লাহর আদেশ অনুসারে বিনয়ী হয়, তবে আল্লাহ তাকে মর্যাদা দান করেন।”

✅ “নবী (সাঃ) বলেছেন: ‘তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সেই, যে তার ভাইয়ের জন্য সম্মানবোধ রাখে এবং তার প্রতি সদয় আচরণ করে।’ তাই প্রকৃত মুমিন সেই, যে অন্যের সম্মান রক্ষা করে।”

✅ 📖 “ক্ষমাশীলতা সম্মানের মূল, আর অহংকার সম্মানের শত্রু।”

✅ “নবী (সাঃ) বলেছেন: ‘তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সেই, যে তার স্ত্রীর প্রতি সর্বোত্তম আচরণ করে।’ তাই একজন মুমিনের উচিত পরিবারের সদস্যদের যথাযথ সম্মান করা।”

✅ “যে ব্যক্তি মানুষের থেকে সম্মান আশা করে, সে অবশেষে লাঞ্ছিত হয়। কিন্তু যে ব্যক্তি কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করে, সম্মান তার পায়ে এসে লুটিয়ে পড়ে। কারণ সম্মান আল্লাহর দান, যা তিনি তাঁর প্রিয় বান্দাদের জন্য নির্ধারিত করেন।”

✅ 📜 “প্রকৃত সম্মান তাদের জন্য, যারা আল্লাহর পথে অটল থাকে এবং তাঁর নির্দেশ অমান্য করে না।”

✅ “মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সেই ব্যক্তি, যে অপর ব্যক্তির সম্মান রক্ষা করে। ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে, প্রতিটি মানুষের সম্মান রক্ষা করা ঈমানের অংশ। তুমি যদি কাউকে সম্মান দাও, আল্লাহ তোমাকে তার চেয়েও বেশি সম্মানিত করবেন। অন্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলে তা তোমার ব্যক্তিত্বের সৌন্দর্য প্রকাশ করবে এবং কিয়ামতের দিন আল্লাহ তোমার মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন।”

✅ “যে ব্যক্তি আত্মগর্বী নয় এবং বিনয়ী স্বভাবের হয়, সে আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত। কারণ আল্লাহ বলেন: ‘আমি অহংকারীকে অপমানিত করি, আর বিনয়ীকে সম্মানিত করি।'”

✅ “নবী কারিম (সাঃ) বলেছেন: ‘তোমাদের মধ্যে প্রকৃত শ্রেষ্ঠ সেই, যে তার নৈতিক গুণাবলিতে উত্তম এবং অন্যকে সম্মান প্রদর্শনে অগ্রগামী।’ তাই, তুমি যদি সম্মান পেতে চাও, তবে অন্যকে সম্মান করা শিখো।”

✅ “আল্লাহ যাকে সম্মানিত করেন, কেউ তাকে অপমানিত করতে পারে না। আর আল্লাহ যাকে অপমানিত করেন, কেউ তাকে সম্মানিত করতে পারে না। তাই সত্যিকারের সম্মান কেবল আল্লাহর কাছ থেকেই আসে।”

✅ 📖 “যদি তোমার সম্মান শুধুমাত্র মানুষের কথাবার্তায় নির্ভরশীল হয়, তাহলে তুমি বড় ধোঁকায় আছো। প্রকৃত সম্মান কেবল আল্লাহর আনুগত্যের মধ্যেই রয়েছে।”

✅ “আল্লাহর পথে কষ্ট সহ্যকারী মুমিন ব্যক্তিকে আল্লাহ এমনভাবে সম্মানিত করেন, যা দুনিয়ার কোনো সম্পদ বা খ্যাতি দিয়ে অর্জন করা যায় না। কারণ ধৈর্যশীলদের জন্য আল্লাহর কাছ থেকে রয়েছে অনন্ত প্রতিদান।”

✅ “যে ব্যক্তি বৃদ্ধ ও অভিভাবকদের সম্মান করে, সে নিজের জীবনে সম্মানিত হয় এবং তার পরবর্তী প্রজন্মও তাকে শ্রদ্ধা করে। কারণ আল্লাহ যাকে সম্মান দেন, তার সম্মান কেউ কেড়ে নিতে পারে না।”

✅ 📜 “যে ব্যক্তি মানুষের সম্মান দেয়, সে আল্লাহর রহমতের অধিকারী হয়।”

✅ 📜 “মানুষ যদি জানত দুনিয়ার সম্মান কত অসার, তাহলে তারা কেবল আখিরাতের সম্মান লাভের জন্য জীবন অতিবাহিত করতো।”

✅ 📜 “আখিরাতে সম্মানিত হওয়ার একমাত্র উপায় হলো দুনিয়াতে আল্লাহর হুকুম মেনে চলা।”

✅ 📖 “যে ব্যক্তি আল্লাহকে খুশি করার জন্য কাজ করে, মানুষ তাকে অপমান করলেও সে আল্লাহর কাছে সম্মানিত।”

✅ “যে ব্যক্তি সত্য কথা বলে, ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ায় এবং অন্যের অধিকার রক্ষা করে, সে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে সম্মানিত। কারণ আল্লাহ বলেন: ‘আমি ন্যায়পরায়ণদের ভালোবাসি।'”

✅ 📜 “যে ব্যক্তি মানুষের কল্যাণে কাজ করে, সে আল্লাহর কাছে সম্মানিত ব্যক্তি।”

✅ “যে ব্যক্তি আল্লাহর নামে দান করে এবং মানুষকে সাহায্য করে, আল্লাহ তার জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মান নির্ধারণ করেন। কারণ আল্লাহ বলেন: ‘যারা দান করে, আমি তাদের সম্মান বৃদ্ধি করি।'”

✅ “সত্যিকারের সম্মানিত সেই, যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজের প্রবৃত্তিকে সংযত রাখে। কারণ আল্লাহ বলেন: ‘যে ব্যক্তি নিজের প্রবৃত্তির অনুসরণ থেকে বিরত থাকে, সে সফলতা লাভ করে।'” (সূরা আন-নাযিয়াত 🙂

✅ “যে ব্যক্তি মানুষের সম্মান রক্ষা করে এবং কাউকে কষ্ট দেয় না, আল্লাহ তার হৃদয়ে প্রশান্তি দান করেন এবং তার সম্মান বৃদ্ধি করেন। কারণ মহানবী (সাঃ) বলেছেন: ‘দয়ালুদের প্রতি আল্লাহ দয়া করেন।'”

✅ “যে ব্যক্তি অন্যের দোষ ধরে, অন্যকে হেয় করে, সে আসলে নিজের সম্মানহানিই করে। মহানবী (সাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অন্যের দোষ খোঁজে, আল্লাহ তার গোপন দোষ প্রকাশ করে দেন।’ তাই, সম্মান পেতে হলে অন্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করাই উত্তম পথ।”

✅ “সম্মান এমন একটি আমানত, যা একবার হারিয়ে গেলে সহজে ফিরে আসে না। তাই সবসময় নিজের মুখের কথা ও কাজের মাধ্যমে অন্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করো। সম্মান দিলে সম্মান পাওয়া যায়— এটি ইসলামের মূলনীতি।”

✅ “সম্মান অর্জন করতে হলে নিজের কথাবার্তায় সংযম আনতে হবে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার জিহ্বার হেফাজত করবে, সে সফল হবে।’ যারা অপ্রয়োজনীয় কথা বলে, গীবত ও পরনিন্দা করে, তারা দুনিয়াতে ও আখিরাতে অপমানিত হবে।”

✅ 📖 “আল্লাহর ভালোবাসা ছাড়া যে সম্মান মানুষকে মোহিত করে, তা শয়তানের ফাঁদ ছাড়া কিছুই নয়। সত্যিকারের সম্মান কেবল আল্লাহভীরুদের জন্য নির্ধারিত।”

✅ “সম্মান পাওয়ার সবচেয়ে বড় শর্ত হলো— তুমি নিজে কেমন মানুষ? যদি তোমার চরিত্র সুন্দর হয়, তাহলে মানুষ তোমাকে সম্মান করবে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘সবচেয়ে উত্তম মুসলমান সে, যার চরিত্র উত্তম।’”

✅ 📖 “দুনিয়ার সম্মান ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু যারা আল্লাহর হুকুম পালন করে, তারা জান্নাতে চিরস্থায়ী সম্মান লাভ করবে।”

✅ “একজন মুসলমান কখনো অন্য মুসলমানকে অপমান করতে পারে না, কারণ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘একজন মুসলমানের রক্ত, সম্পদ এবং সম্মান অন্য মুসলমানের জন্য হারাম।’ অর্থাৎ কারও সম্মানহানি করা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।”

✅ 📖 “যারা আল্লাহর বিধান অনুসারে জীবন পরিচালনা করে, তারাই দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত হবে।”

✅ “যে ব্যক্তি তার প্রতিপালককে ভালোবাসে, আল্লাহ তার জন্য ফেরেশতাদের মাঝে সম্মান ঘোষণা করেন। কারণ আল্লাহ বলেন: ‘আমি আমার বান্দাকে ভালোবাসলে, আমি তাকে ফেরেশতাদের মাঝেও মর্যাদা দান করি।'”

✅ “যে ব্যক্তি অন্যকে সম্মান দেয়, সে প্রকৃতপক্ষে নিজের সম্মানকে বৃদ্ধি করে। ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে, অপরের সম্মানহানি করা শুধু অন্যায় নয়, এটি গুনাহের কাজ। কিয়ামতের দিন এমন ব্যক্তির মুখমণ্ডল কালো হয়ে যাবে, যে অন্যের সম্মান বিনষ্ট করেছে।”

✅ “যে ব্যক্তি অহংকার করে, আল্লাহ তাকে অপমানিত করেন। যারা বিনয়ী ও নম্র, আল্লাহ তাদের সম্মানিত করেন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘নম্রতা কখনো কাউকে ছোট করেনি, বরং তা তার মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করে।’”

✅ “যে ব্যক্তি আত্মগরিমা পরিহার করে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তার সম্মান বাড়িয়ে দেন। কারণ নবী করিম (সাঃ) বলেছেন: ‘যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেন, আর যে অহংকার করে, আল্লাহ তাকে হেয় করেন।'”

✅ “রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদের স্নেহ করে না এবং আমাদের বড়দের সম্মান করে না, সে আমাদের মধ্যে নয়।’ ইসলাম শিক্ষা দেয়, সমাজের প্রতিটি ব্যক্তিকে তাদের যোগ্য সম্মান দিতে হবে। যে এটি পালন করবে না, সে কখনো সফল হতে পারবে না।”

✅ “আল্লাহ যাকে সম্মানিত করেন, তাকে কেউ অপমান করতে পারে না। কারণ সম্মান ও মর্যাদা একমাত্র আল্লাহর হাতে। দুনিয়ার সম্মান ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু আল্লাহর দেওয়া সম্মান চিরস্থায়ী।”

✅ “যে ব্যক্তি আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলে এবং তাঁর বিধান অনুযায়ী জীবনযাপন করে, দুনিয়ার রাজারা তাকে সম্মান করে এবং আখিরাতে ফেরেশতারা তাকে সম্মানিত করবে। কারণ, সত্যিকারের সম্মান একমাত্র আল্লাহর আনুগত্যের মধ্যেই নিহিত।”

✅ 📜 “সম্মান তারাই লাভ করে, যারা বিনয়ী হয় এবং অন্যদের সম্মান দিতে জানে।”

✅ 📜 “যে ব্যক্তি আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলে, সে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত হবে।”

✅ “যে ব্যক্তি সত্যের পথে চলে এবং ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ায়, সে সম্মানিত হয়। কারণ আল্লাহ কুরআনে বলেন: ‘সত্যের অনুসরণকারীদের জন্য রয়েছে সুউচ্চ মর্যাদা।'” (সূরা মুহাম্মদ 🙂

✅ 📖 “যে ব্যক্তি আল্লাহকে সম্মান করে, আল্লাহ তাকে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত করেন। আর যে ব্যক্তি মানুষের কাছে সম্মান পাওয়ার লোভ করে, অথচ আল্লাহর আদেশ লঙ্ঘন করে, সে কখনোই প্রকৃত সম্মানিত হতে পারে না।”

✅ 📖 “যে ব্যক্তি দুনিয়ার সম্মান নিয়ে বেশি চিন্তিত, সে মূলত নিজের আখিরাতের ক্ষতি করছে।”

✅ 📖 “দুনিয়ার সম্মান যদি এতই মূল্যবান হতো, তাহলে নবী-মুসা (আঃ), ঈসা (আঃ) এবং নবী মুহাম্মদ (ﷺ) কেন কষ্ট সহ্য করতেন? প্রকৃত সম্মান তাদের জন্য, যারা দুনিয়ার কষ্টকে হাসিমুখে সহ্য করে, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য।”

✅ “যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মানুষের প্রতি সদয় হয় এবং সম্মান প্রদর্শন করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দেন। কারণ ইসলামে সৌজন্যতা ও সম্মানের গুরুত্ব অপরিসীম।”

✅ “যে ব্যক্তি আত্মগর্ব ও অহংকার ত্যাগ করে বিনয়ী হয়, সে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মান লাভ করে। কারণ মহান আল্লাহ বলেন: ‘আমি বিনয়ীদের মর্যাদা বৃদ্ধি করি, আর অহংকারীদের হীন করি।'”

✅ 📜 “সম্মান অর্জনের একমাত্র পথ হলো আল্লাহর বিধান মেনে চলা এবং মানুষকে ভালোবাসা।”

✅ 📖 “যারা আল্লাহর পথে অবিচল থাকে, দুনিয়া তাদের সম্মান না দিলেও আখিরাতে তারা শ্রেষ্ঠ সম্মানিতদের মধ্যে থাকবে।”

✅ “যে ব্যক্তি সম্মানের মর্যাদা বোঝে না, সে কখনো প্রকৃত সম্মান পেতে পারে না। সম্মান একটি গুণ, যা কেবলমাত্র আল্লাহভীরু ও নম্র ব্যক্তিরাই ধারণ করতে পারে। যারা নিজেদের অন্তরে অহংকার পোষণ করে, তারা আল্লাহর কাছে কখনো সম্মানিত নয়।”

✅ “যে ব্যক্তি নিজে সম্মানিত হতে চায়, তাকে অবশ্যই অন্যকে সম্মান করতে হবে। ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে, অন্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলে আল্লাহর রহমত নেমে আসে। যে ব্যক্তি অন্যের সম্মানহানি করে, সে আসলে নিজের সম্মানকেই নষ্ট করে।”

✅ “সম্মান শুধু ধনীদের জন্য নয়, গরিবদেরও সম্মান পাওয়ার অধিকার রয়েছে। রাসূল (সাঃ) বলেছিলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো গরিব মুসলমানকে সম্মান করে, সে আল্লাহকে সম্মান করল।’ সমাজে সবার জন্য সম্মানের অধিকার নিশ্চিত করাই ইসলামের অন্যতম শিক্ষা।”

✅ “যে ব্যক্তি মানুষের কল্যাণে কাজ করে, আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেন এবং দুনিয়ার মানুষ তাকে ভালোবাসে। কারণ মহানবী (সাঃ) বলেছেন: ‘সৃষ্টির মাঝে উত্তম সেই, যে অন্যের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করে।'”

✅ “যে ব্যক্তি গরিব ও অসহায়দের সম্মান করে, আল্লাহ তার সম্মান বৃদ্ধি করেন এবং তার রিজিক বরকতময় করেন। কারণ আল্লাহ দরিদ্রদের প্রতি দয়া প্রদর্শনকে অত্যন্ত ভালোবাসেন।”

✅ “ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে, যদি তুমি সম্মান পেতে চাও, তবে প্রথমে অন্যকে সম্মান দাও। যে ব্যক্তি নিজের মুখের কথায় অন্যকে অপমানিত করে, সে কখনো সত্যিকারের সম্মানিত হতে পারে না। আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন, ‘যারা অন্যের সম্মান নষ্ট করে, তাদের জন্য কঠিন শাস্তি নির্ধারিত আছে।’ (সুরা হুজুরাতঃ )”

✅ “যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের দোষ গোপন রাখে এবং মানুষের সম্মান রক্ষা করে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার দোষসমূহ গোপন রাখবেন এবং তাকে সম্মানিত করবেন। কারণ আল্লাহ ক্ষমাশীলদের ভালোবাসেন।”

✅ “সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার অন্যতম শর্ত হলো— একে অপরের প্রতি সম্মান বজায় রাখা। ইসলাম শিক্ষা দেয়, মানুষের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা মানে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। যে ব্যক্তি অন্যের প্রতি সম্মান দেখায়, সে কিয়ামতের দিন আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ লাভ করবে।”

✅ “ইসলাম শিক্ষা দেয়, সম্মান কেবল মানুষের কাছ থেকে পাওয়ার জন্য নয়, বরং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দিতে হয়। তুমি যদি কারও প্রতি সম্মান প্রদর্শন করো, তবে এটি আল্লাহর নিকট গৃহীত হবে এবং তিনি তোমাকে আরও সম্মানিত করবেন।”

✅ “তুমি যদি চাও যে, মানুষ তোমাকে সম্মান দিক, তাহলে আল্লাহর সামনে নিজেকে বিনম্র করো। কারণ যে ব্যক্তি আল্লাহর সামনে নিজেকে নিচু করে, আল্লাহ তাকে মানুষের মাঝে উচ্চ মর্যাদা দান করেন।”

✅ 📖 “আখিরাতের সম্মান অর্জন করতে হলে দুনিয়ার কষ্ট ও ত্যাগকে স্বাগত জানাতে হবে।”

✅ “যদি তুমি সম্মান লাভ করতে চাও, তবে বিনয় অবলম্বন করো। কেননা নবী (সাঃ) বলেছেন: ‘যে ব্যক্তি বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উচ্চ মর্যাদা দান করেন, আর যে অহংকার করে, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করেন।'”

✅ “যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজের অহংকারকে বিসর্জন দেয়, আল্লাহ তাকে এমনভাবে সম্মানিত করেন, যা কেউ কল্পনাও করতে পারে না। কারণ আল্লাহ বলেন: ‘আমি বিনয়ীদের মর্যাদা বৃদ্ধি করি।'”

✅ “যে ব্যক্তি নিজে দীনদার এবং অন্যদেরও ইসলামের পথে আহ্বান করে, আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেন এবং তার নামে মানুষ শ্রদ্ধা জানায়। কারণ দাওয়াতের কাজ আল্লাহর প্রিয় আমলগুলোর একটি।”

✅ “একজন সত্যিকারের মুসলিম অন্য মুসলিম ভাইয়ের সম্মান রক্ষা করে। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা একে অপরের দোষ খোঁজো না, কারণ যে অন্যের দোষ খোঁজে, আল্লাহ তার দোষ প্রকাশ করে দেন।’ তাই, সম্মানিত হতে হলে অন্যের সম্মান রক্ষা করা শিখতে হবে।”

উপসংহারঃ আশা করি আমাদের আজকের শেয়ার করা সম্মান নিয়ে ইসলামিক উক্তি গুলো সবারই অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এরপরেও যদি আমাদের শেয়ার করা এই সমস্ত সম্মান নিয়ে ইসলামিক উক্তি গুলো আপনাদের মনে কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে আমাদেরকে জানাতে ভুলবেন না।

➜ আরোও পড়ুনঃ  ৪৮০+ আল্লাহর উপর ভরসা নিয়ে উক্তি english দেখুন

সম্মান একমাত্র আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে এবং তাকওয়া ও ভালো আচরণের মাধ্যমে এটি অর্জন করা যায়। যারা সত্যিকারের মুসলিম, তারা সর্বদা অন্যদের সম্মান করতে শেখে এবং বিনয়ী থাকে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সত্যিকার সম্মান অর্জনের তৌফিক দিন, আমিন। 🤲

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *