৪০টি অবহেলিত ভালোবাসার চিঠি (বাছাইকৃত ও আকর্ষনীয়)

অবহেলিত ভালোবাসার চিঠিগুলো হৃদয়ের গভীর যন্ত্রণাকে তুলে ধরে। এখানে ১০টি বড় দৈর্ঘ্যের, আবেগঘন ও কষ্টভরা অবহেলিত ভালোবাসার চিঠি তুলে দেওয়া হলো, যেগুলো একতরফা ভালোবাসার, ভুলে যাওয়া প্রেমের, কিংবা চুপিসারে ভালোবাসা হারানোর মর্মস্পর্শী কথা।

এখানে আপনাদের জন্য আমরা যেসমস্ত অবহেলিত ভালোবাসার চিঠি  শেয়ার করব সবগুলোই অনেক বেশি আকর্ষনীয়। আর এগুলো বাছাই করেই আপনাদের জন্য আনা হয়েছে। তাই অবশ্যই শেষ পর্যন্ত সবগুলো অবহেলিত ভালোবাসার চিঠি পরবেন।

পোষ্ট এর সূচি দেখুন

অবহেলিত ভালোবাসার চিঠি

নিচে খুব সুন্দরভাবে এই সমস্ত যাবতিয় অবহেলিত ভালোবাসার চিঠিগুলো আপনাদে জন্য তুলে ধরা হলো। সবগুলোই সুন্দরভাবে পড়বেন। তাহলে আসুন এখন পড়া শুরু করি।


✉️ অবহেলিত ভালোবাসার চিঠি: “তুমি ব্যস্ত ছিলে, আর আমি ভালোবাসতে শিখে গিয়েছিলাম একা”

প্রিয়তমা,

আজ অনেক দিন পর কলম হাতে নিয়েছি। জানি, তুমি সময় পাবে না পড়ার, কিংবা ইচ্ছেও হবে না। তবুও লিখছি—লিখছি শুধুমাত্র সেই অব্যক্ত ভালোবাসার কথা, যে ভালোবাসার কোনো মূল্য কখনো তোমার কাছে ছিল না। আমি জানি, আমি তুচ্ছ ছিলাম তোমার দৃষ্টিতে। আমি জানি, আমি ছিলাম একজন ছায়ার মতো, যার অস্তিত্ব শুধুই আলো আসলে দেখা যায়।

তুমি কী জানো, আমি কীভাবে প্রতিটি দিন কেটেছি? সকালে ঘুম ভাঙার পর তোমার একটা মেসেজের অপেক্ষায় থাকতাম। মোবাইলের পর্দায় একবার ‘Seen’ দেখলেই মন বলত—”আহা, সে অন্তত পড়েছে!” কিন্তু কখনো কোনো উত্তর আসতো না। কখনো কোনো ‘How are you?’ জিজ্ঞেস করনি তুমি। আমি শতবার কষ্ট গিলে বলেছি—”ভালো আছি।” অথচ সত্যি বলতে, আমি ভেঙে পড়েছিলাম প্রতিদিন।

তুমি ব্যস্ত ছিলে ক্যারিয়ার নিয়ে, বন্ধুবান্ধব নিয়ে, জীবনের হাজারো পরিকল্পনায়। আমি হয়তো কোথাও ছিলাম না সেই মানচিত্রে। আমার নাম হয়তো তোমার হৃদয়ের পাতায় ছিল না, কিন্তু তোমার নাম আমার প্রতিটি নিঃশ্বাসে ছিল। আমি তোমার সব ছবি জমিয়ে রেখেছি—হয়তো একদিন ভুলে গিয়েছিলে তুমি, কিন্তু আমি একটাও মুছিনি।

আমার সবচেয়ে বড় অপরাধ ছিল—আমি নিঃশব্দ ভালোবেসেছিলাম। বলিনি কখনো, চাপিয়ে দিইনি, চেয়েছিলাম তুমি নিজে বুঝে নিও। কিন্তু তুমি বুঝোনি, বুঝলেও বুঝতে চাওনি। তোমার জীবনে আমি শুধু একজন “ভালো বন্ধু”, আর আমার জীবনে তুমি ছিলে সবকিছু। তুমি আমার দুনিয়া ছিলে, আর আমি ছিলাম তোমার অলস মুহূর্তের বিনোদন মাত্র।

আমার সবচেয়ে কষ্ট লাগে তখন, যখন দেখি তুমি অন্য কাউকে নিয়ে হাসছো, তার সাথে সময় কাটাও। অথচ আমি জানি, আমি চাইলে তোমার জন্য আকাশ ভেঙে নামাতে পারতাম, শুধু একবার যদি তুমি বলতে “থেকো আমার পাশে।” কিন্তু তুমি চাওনি। কখনো চাওনি। তোমার কাছে ভালোবাসা মানে কিছু পেতে চাওয়া, আমার কাছে ভালোবাসা মানে শুধু তোমায় ছায়ার মতো ভালোবেসে যাওয়া।

এখন যখন রাত গভীর হয়, আমি চুপচাপ জানালার পাশে দাঁড়িয়ে ভাবি—”তুমি কী কখনো একটিবার হলেও আমার কথা ভাবো?” আমি জানি না এর উত্তর। হয়তো কোনো দিন তুমি এই চিঠি পড়বে, হয়তো পড়বে না। তবুও রেখে দিচ্ছি—হয়তো কোনো এক নিঃসঙ্গ দুপুরে, তোমার বুকেও হঠাৎ কিছু খোঁচা দেবে। তখন মনে পড়বে, কেউ একদিন নিঃশব্দে তোমাকে ভালোবেসেছিল।

ভালো থেকো… সবসময়।
তোমার অবহেলিত ভালোবাসার মানুষ।

আরোও  ৪০ টি অবহেলিত ভালোবাসার চিঠি

নিচে খুব সুন্দরভাবে আপনাদের জন্য সাজিয়ে সমস্ত অবহেলিত ভালোবাসার চিঠিগুলো তুলে ধরা হলো। এগুলো কিন্তু আপনারাও অনেক বেশি সুন্দরভাবে পড়তে পারবেন। তাহলে আসুন এখন শুরু করা যাক আমাদের আরোও ৪০ টি অবহেলিত ভালোবাসার চিঠি।


✉️ চিঠি ১: “তুমি ছিলে আমার পৃথিবী, আর আমি ছিলাম তোমার অবহেলিত ছায়া”

প্রিয়তমা,

তোমার হয়তো মনে নেই, শেষ কবে আমার খোঁজ নিয়েছিলে তুমি। অথচ আমার দিন শুরু হতো তোমার নাম উচ্চারণ করে, রাত শেষ হতো তোমার ছবিতে চোখ রেখে। তুমি হয়তো জানো না, আমি প্রতিদিন নিজের সমস্ত ব্যস্ততা ছেড়ে অপেক্ষা করতাম তোমার একটিমাত্র মেসেজের জন্য। অথচ তুমি ব্যস্ত ছিলে তোমার নিজের জগতে—সেই জগতে আমার কোনো ঠাঁই ছিল না।

তুমি যখন বলেছিলে “আমার জীবনে তুমি অনেক গুরুত্বপূর্ণ”—আমি সেটা সত্যি ভেবেছিলাম। তোমার প্রতিটি মিথ্যে কথা আমি বিশ্বাস করে ফেলেছিলাম, কারণ আমি সত্যিকারের ভালোবেসেছিলাম। তুমি হয়তো বলেছিলে অভ্যাসে, আমি শুনেছিলাম হৃদয়ের গভীর থেকে। সেই ভুল বোঝাবুঝির পরিণতি এখন আমিই ভুগছি—একাকী, নিঃস্ব, হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসার ধ্বংসাবশেষ হয়ে।

তুমি কখনো বুঝোনি, আমি কতটা ভেঙে পড়তাম যখন তোমার রিড দেখে কোনো উত্তর পেতাম না। তোমার হাসির পেছনে যেই নতুন মানুষটা ছিল, আমি তাকে দেখেও কিছু বলিনি। কেবল মেনে নিয়েছি, কারণ ভালোবাসা মানে তো দাবী নয়, ছেড়ে যাওয়ার পরেও চুপচাপ পাশে দাঁড়িয়ে থাকা।

আজও, এতটা সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও আমি তোমার জন্মদিন ভুলে যাই না, তোমার পছন্দ-অপছন্দগুলো এখনো মনে আছে। অথচ তুমি আমার নামটাও নিশ্চয় ভুলে গেছো, ভুলে গেছো কারো নিঃশব্দ ভালোবাসা একসময় তোমার চারপাশে নিশ্বাস নিতো।

তুমি চলে যাওয়ার পর আমি কাউকে ভালোবাসতে পারিনি, পারবও না হয়তো। কারণ আমার ভালোবাসা তো আমি তোমার কাছেই ফেলে এসেছি, সেই দিনের নিরব কান্নার সাথেই।

যদি কোনোদিন জীবনের কোনো বাঁকে আমার কথা মনে পড়ে, একবার চোখ বন্ধ করে ভাবো—”একজন মানুষ ছিল, যে আমাকে নিঃশর্তভাবে ভালোবেসেছিল।”

➜ আরোও পড়ুনঃ  ৭০০+ মেয়ে পটানোর প্রশংসা ও মেয়ে পটানোর হাসির মেসেজ

ভালো থেকো… এমন কোনো দিনে, যখন তোমার ভালো থাকার পেছনে আমার নাম থাকবে না।
– তোমার অবহেলিত ভালোবাসা


✉️ চিঠি ২: “আমার ভালোবাসা একতরফা ছিল, অথচ অনুভূতিগুলো ছিলো সত্য”

প্রিয়,

তোমার চোখে চোখ রেখে হাসতাম, অথচ ভিতরে ভিতরে কাঁদতাম। তোমার প্রতিটি হালকা স্পর্শে আমি ভবিষ্যৎ দেখতাম, অথচ তুমি দেখেছিলে সাময়িক স্বস্তি। আমাদের মধ্যে সেই সমীকরণ কোনোদিনই ছিল না—তুমি পেয়েছো ভালোবাসা, আমি পেয়েছি অবহেলা।

তুমি হয়তো ভাবো আমি দূরে সরে গেছি, কিন্তু না—আমি এখনো তোমারই হয়ে আছি। কেবল তোমার দৃষ্টির পরিধির বাইরে, সেখানে যেখানে তুমি তাকাও না কখনো। আমি চাইতাম না কিছু পেতে, শুধু চাইতাম তুমি বুঝো—আমার ভালোবাসাটা নিঃস্বার্থ।

তুমি হয়তো আজ আর কখনো জানবে না, আমি প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে তোমার ছবিটা দেখি, তোমার পুরনো ভয়েস মেসেজ শুনি। নিজেকে বোঝাই, “এইটুকু থাকাই যথেষ্ট।” কিন্তু সত্যি কি তাই? সত্যি কি এই নীরব ভালোবাসার কোনো মূল্য নেই?

আমি জানি, তুমি কখনো ফিরে আসবে না। তবুও আজও আশায় থাকি, একদিন হয়তো, কোনো এক ভাঙা বিকেলে তুমি হঠাৎ মনে পড়ে যাবে—“একটা মানুষ ভালোবেসেছিল নিঃশব্দে, সারাজীবন অপেক্ষা করেছে।”


✉️ চিঠি ৩: “তুমি ভুলে গেছো, অথচ আমি আজও সেখানে দাঁড়িয়ে আছি”

প্রিয়তম,

তুমি এখন নতুন শহরে, নতুন মানুষদের সাথে, নতুন স্বপ্নে ডুবে আছো। তোমার জীবনে আজ সব নতুন, আর আমার জীবনে এখনো সব পুরোনো—পুরোনো তুমি, পুরোনো স্মৃতি, পুরোনো কষ্ট।

আমি আজও সেই বেঞ্চটায় গিয়ে বসি যেখানে বসে তোমার হাত ধরেছিলাম প্রথমবার। আজও ঐ দোকানে দাঁড়িয়ে চা খাই, যেখান থেকে তুমি বলেছিলে—“একদিন আমি তোমাকে ছেড়ে যাব না।” ironic, তাই না?

তুমি হয়তো ভুলে গেছো আমাদের ছোট ছোট গল্পগুলো, কিন্তু আমি ভুলিনি। তোমার প্রিয় গানের লাইন শুনলেই আমার চোখে জল চলে আসে, কারণ সেই গানটা আজ আর তোমার সাথে শোনা হয় না।

তুমি খুব সহজেই আমাকে ছেড়ে গেলে, কারণ তোমার কাছে আমি ছিলাম একটা “যদি”। আর তুমি আমার কাছে ছিলে “চিরকাল”। ভালোবাসা কখনো সমান হয় না, হয়তো বলেই কিছু মানুষ সারাজীবন ভালোবেসেও একা থাকে।


✉️ চিঠি ৪: “আমি কোনোদিন তোমার প্রিয় হতে পারিনি”

প্রিয়,

আমি জানি, আমি কখনো তোমার প্রিয় মানুষ ছিলাম না। তুমি হাসতে, আড্ডা দিতে, গল্প করতে, কিন্তু যখন একা হয়ে পড়তে, তখন আমি হঠাৎ করে তোমার মনে পড়তাম। আমি ছিলাম তোমার একাকীত্বের ওষুধ, ভালোবাসার নয়।

তোমার প্রতিটি ব্যস্ততায় আমি ছিলাম অবাঞ্ছিত। আর আমি? আমি প্রতিটি নিঃশ্বাসে তোমার নাম বলেছি। তুমি যেই মেসেজের উত্তর দাওনি, আমি সেটা দিনের পর দিন পড়ে কাঁদেছি।

ভালোবাসা আমি চাইনি, চাইনি তুমি আমায় বিয়ে করো। চাইতাম শুধু, একটিবার হলেও তুমি বোঝো—কেউ তোমাকে নিজের চেয়ে বেশি ভালোবেসেছে।


✉️ চিঠি ৬: “তুমি আমাকে রেখে এগিয়ে গেলে, আমি আজও থেমে আছি তোমার অপেক্ষায়”

প্রিয়তমা,

তুমি এখন হয়তো অচেনা কোনো শহরে, অচেনা কোনো মানুষের হাত ধরে হেঁটে যাচ্ছো। অথচ আমি আজও দাঁড়িয়ে আছি সেই পুরনো রাস্তায়, যেখানে শেষবার তুমি বলেছিলে, “আমি ফিরে আসবো।”

আমি প্রতিদিন সময় গুনে গুনে বসে থাকি, তোমার মেসেজের অপেক্ষায় থাকি। অথচ কোনো উত্তর আসে না। তুমি বদলে গেছো, আমিও বদলেছি—কিন্তু বদলটা ভেতর থেকে। তুমি শিখে গেছো আমাকে না ভালোবেসে কেমন করে হাসতে হয়, আর আমি শিখেছি ভালোবেসেও কেমন করে প্রতিদিন ভাঙতে হয়।

তুমি চলে যাওয়ার পর আমি কারো দিকে তাকাতে পারিনি। কারণ প্রতিটি মুখেই খুঁজে ফিরেছি তোমাকে। প্রতিটি চুলে, প্রতিটি হাসিতে, প্রতিটি চোখে—তোমার ছায়া দেখতে চেয়েছি। কিন্তু তুমি ছিলে একটাই, আর সেই একটাই আজ আমার কাছে নেই।

জানি, তোমার কাছে আমি এখন অতীত। কিন্তু আমার কাছে তুমি এখনো ভবিষ্যৎ। তুমি আমাকে ফেলে চলে গেছো, আর আমি এখনো থেমে আছি—তোমার জন্য।


✉️ চিঠি ৭: “তুমি ভালোবাসোনি, অথচ আমি আজও তোমাকেই ভালোবাসি”

প্রিয়,

একটা সময় ছিল, যখন তুমি আমার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত দখল করে রেখেছিলে। ঘুম থেকে উঠেই তোমার Good Morning মেসেজ, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে তোমার কণ্ঠস্বর—এটাই ছিল আমার জগত।

কিন্তু এখন? এখন আমি প্রতিদিন তোমার ছাড়া কাটাই, প্রতিদিন তোমার স্মৃতিতে ডুবে থাকি। তুমি কখনোই আমাকে ভালোবাসোনি, এটা আমি জানতাম। তবুও তোমার একটা হাসি, তোমার একটুখানি মনোযোগ আমাকে যেন পুরো পৃথিবী দিতো।

তুমি কখনো বুঝোনি আমার দৃষ্টি কেন ঘন ঘন তোমার দিকে যেত, কখনো বোঝোনি কেন আমি তোমার কষ্টগুলো নিজের মধ্যে নিতাম। তুমি হয়তো সেটা ভুল বুঝেছিলে—ভেবেছিলে আমি নিছকই একজন বন্ধু। অথচ আমি সেই বন্ধু, যে নিজের ভালোবাসা গোপন রেখে তোমার ভালো থাকার প্রার্থনা করে গিয়েছি।

তোমার জীবনে অন্য কেউ এসেছে, আমি জানি। তাকে নিয়ে সুখী হও তুমি—আমি শুধু চাই তুমি ভালো থাকো।
আর আমি? আমি ভালোবাসার সেই পরিত্যক্ত যোদ্ধা, যে ভালোবেসেছিল নিঃস্বার্থভাবে, হারিয়েছিল চিরতরে।


✉️ চিঠি ৮: “তোমার ব্যস্ততা আমার ভালোবাসাকে পিষে ফেলেছে”

প্রিয়তম,

তুমি বলেছিলে, “আমি এখন একটু ব্যস্ত, পরে কথা বলবো।” সেই ‘পরে’টা আর কখনো আসেনি। ব্যস্ততার ছলে তুমি আমায় এড়িয়ে গেছো, আর আমি প্রতি মুহূর্তে তোমার অবসর খুঁজে খুঁজে নিজেকে শেষ করে ফেলেছি।

তুমি হয়তো ভাবো আমি অভিমান করেছি, কিন্তু না। আমি তো অভিমান করার অধিকারও পাইনি তোমার কাছে। আমি ছিলাম শুধুই একজন ‘বিকল্প’, একঘেয়েমি কাটানোর পথ, আর কিছু না।

আমি কখনো বলিনি, কিন্তু আমার হৃদয় প্রতিদিন ভেঙে ভেঙে চুরমার হয়েছে তোমার উপেক্ষায়। আমার লেখা কবিতাগুলো পড়োনি, আমার আঁকা ছবিগুলো দেখোনি, আমার কান্নার আওয়াজ শোনোনি—তুমি চেয়েছিলে শুধু নিজের মতো করে বাঁচতে। আর আমি শুধু চেয়েছিলাম তোমার পাশে নিঃশব্দে বাঁচতে।

এখন আমি নিজেই জানি না আমি কে। আমার ভালোবাসা, আবেগ সবই চাপা পড়ে গেছে তোমার ব্যস্ত জীবনের দৌঁড়ে। হয়তো আমি ভুল ছিলাম, ভালোবাসা যেখানে একতরফা, সেখানে আশা রাখাও পাপ।


✉️ চিঠি ৯: “তুমি চলে যাওয়ার পর আমি আর কেউ নই”

প্রিয়তমা,

তুমি চলে যাওয়ার পর আমি আর সেই মানুষটি নেই। আমি আজকাল আয়নায় তাকাতে ভয় পাই। সেই মানুষটা যে আয়নায় ছিল, তার চোখে ছিল স্বপ্ন, ভালোবাসা আর হাসি। এখন সেখানে শুধুই ক্লান্তি, শূন্যতা আর কান্না।

তুমি ছিলে আমার জীবনের মানে, এখন সেই জীবনটাই অকারণে চলছে। অনেকেই বলে, “তোমাকে ভুলে যাও।” কী করে বলো? তোমাকে ভুলে যেতে গেলে নিজেকেই ভুলে যেতে হয়।

তোমার পাঠানো পুরনো মেসেজগুলো আমি এখনো রেখে দিয়েছি। মাঝে মাঝে পড়ি, কাঁদি, আবার রেখে দিই। যেন স্মৃতিগুলো না মুছে যায়। আমি জানি, তুমি আজ আর আমার জন্য কিছু অনুভব করো না। তবুও আমি অনুভব করি, প্রতিটি নিঃশ্বাসে, প্রতিটি পলকে।

তোমার অনুপস্থিতিই এখন আমার সবচেয়ে বড় উপস্থিতি। তুমি নেই, কিন্তু তোমার স্মৃতিগুলো এখনো আমাকে ছায়ার মতো অনুসরণ করে।
তুমি ভালো থেকো, আর আমি তোমার হারানো ছায়ার মতো বেঁচে থাকবো, চুপচাপ।


✉️ চিঠি ১০: “আমি আজও অপেক্ষা করি—তোমার জন্য, আমার জন্য, আমাদের জন্য”

প্রিয়,

শেষ চিঠিটা লিখছি। জানি তুমি পড়বে না, তবুও লিখছি। কারণ আমার ভাঙা হৃদয়টা এখনো তোমার কিছু উত্তর খোঁজে। তুমি বলেছিলে, “একদিন আমাদের হবে একসাথে ভবিষ্যৎ।” আজ সেই ভবিষ্যৎ এসে গেছে, আর আমি একা।

আমি আজও প্রতিদিন তোমার সেই কথাগুলো মনে করি, যেখানে তুমি বলেছিলে, “তুমি ছাড়া আমি অসম্পূর্ণ।” অথচ এখন তুমি কাউকে নিয়ে সম্পূর্ণ হয়ে গেছো, আর আমি থেকে গেছি অসম্পূর্ণই।

আমি জানি না, তুমি আজও আমাকে মনে রাখো কি না। তবে আমি জানি, আমি আজও সেই দিনের অপেক্ষায় আছি—যেদিন তুমি হয়তো হঠাৎ করে বলবে, “চলো আবার নতুন করে শুরু করি।”

হয়তো সেই দিনটা কোনোদিন আসবে না। তবুও আমার অপেক্ষা থাকবে, যেমন ছিল প্রথম দিন থেকে—নিঃশব্দ, নিঃস্বার্থ, নিঃশেষ ভালোবাসার মতো।


✉️ চিঠি ১১: “তোমার অনুপস্থিতিতে আমি প্রতিদিন একটু করে হারিয়ে যাই”

প্রিয়তমা,

আজ আমি চুপচাপ বসে আছি সেই জানালার ধারে, যেখান থেকে তুমি একদিন বিদায় নিয়েছিলে। তোমার চলে যাওয়ার পর থেকে এই জানালাটা আর শুধুই জানালা নয়—এটা যেন আমার জীবনের শেষ প্রহর।

➜ আরোও পড়ুনঃ  ৪০টি প্রপোজ করার রোমান্টিক চিঠি (আকর্ষনীয়)

আমি জানি না তুমি এখন কোথায়, কেমন আছো, কিংবা আদৌ আমাকে কখনো মনে পড়ে কি না। কিন্তু আমি প্রতিটি সূর্যোদয়ে খুঁজি তোমার ছায়া, প্রতিটি সন্ধ্যায় ডুব দিই সেই পুরনো কথোপকথনে।

তুমি যে রকমভাবে কেটে গেলে, আমি সে রকম করে যেতে পারিনি। আমার প্রতিটি নিঃশ্বাসে আজও তুমি বাজো। আমি চাইলে হয়তো তোমাকে ভুলে যেতে পারতাম, নতুন করে ভালোবাসতে পারতাম—কিন্তু সেটা তো আমি নই।

তোমার অনুপস্থিতিতে আমি প্রতিদিন একটু করে মরছি। অথচ আশ্চর্য, তুমি প্রতিদিন নতুন করে বেঁচে উঠছো—আমার ছাড়া।
এটাই কি তাহলে ভালোবাসার শেষ চেহারা?


✉️ চিঠি ১২: “তোমার নিরবতা আমার ভালোবাসাকে হত্যা করেছে”

প্রিয়,

ভালোবাসা যদি শুধু বলা হতো, তাহলে হয়তো আজও তুমি আমার হতে। কিন্তু আমার ভালোবাসা ছিল দেখানো, অনুভব করানো—তোমার চোখে চোখ রেখে বোঝানো। আর তুমি? তুমি ছিলে শুধু নিরব।

তোমার সেই নিরবতা আমার সবচেয়ে বড় শাস্তি হয়ে উঠেছিল। তুমি কিছুই বলোনি—না ‘ভালোবাসি’, না ‘ভালোবাসি না’। আর আমি সে নিরবতার প্রতিটা শব্দ ভুলভাবে বুঝে ফেলেছিলাম।

তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে ভেবেছিলাম, সেখানেই আমার ঠাঁই আছে। অথচ আজ বুঝি, সেই চোখে আমার জন্য কিছুই ছিল না। তুমি আমায় কখনো ভালোবাসোনি, কিন্তু বলেও দাওনি কিছু—সেই অব্যক্ত অনুভূতির ভারেই আজও আমি ডুবে আছি।

তোমার এই নিরবতা আমার ভালোবাসাকে শুধু আহত করেনি—হত্যা করেছে।
তবুও, আমি সেই খুনির কাছেই প্রতিদিন প্রাণ ভিক্ষা চাই।


✉️ চিঠি ১৩: “তুমি ভালোবাসলে না, আমিও ছাড়তে পারিনি”

প্রিয়তম,

তুমি আমাকে কখনো ভালোবাসোনি, এটা আমি বহুবার বুঝেছি। তবুও তোমার কাছে ফিরে গেছি বারবার, যেমন নদী বারবার ছুটে যায় সমুদ্রের পানে—জানার পরেও যে সেখানে শুধুই লবণাক্ততা।

তুমি সবসময় বলতে, “আমি তোমার জন্য যথেষ্ট নই।” অথচ সত্যিটা ছিল, তুমি চাওনি যথেষ্ট হতে। তুমি চাওনি আমার চোখের ভাষা বুঝতে, আমার মনকে ছুঁতে। আমি শুধু তোমার প্রতিচ্ছবি হয়ে থেকেছি, তুমি কখনো আমার ছায়া হতে চাওনি।

তবুও জানো, আজও আমি ভোর হলে তোমার নাম নিয়ে জেগে উঠি, আর রাত হলে চোখের জলে তোমাকে জড়িয়ে ঘুমাই।

ভালোবাসা কখনো কখনো বোকামি হয়ে দাঁড়ায়, আর সেই বোকামিটাই আজ আমি—একটা অবহেলিত নামহীন ভালোবাসা।


✉️ চিঠি ১৪: “তোমার ব্যস্ততার ছায়ায় আমি হারিয়ে গেছি”

প্রিয়,

তুমি বলেছিলে, “ভালোবাসি, কিন্তু সময় নেই।” আর আমি বলেছিলাম, “ভালোবাসা সময়ের চেয়ে বেশি মূল্যবান।”
আমরা দুজন দুই মেরুতে দাঁড়িয়েছিলাম, অথচ চেয়েছিলাম একত্রে মিলতে।

তোমার সেই ব্যস্ত জীবন আমাকে ভুলে যেতে শিখিয়েছে। তুমি প্রতিদিন নতুন নতুন স্বপ্নের পেছনে ছুটে গেছো, আর আমি প্রতিদিন পুরনো স্বপ্ন আঁকড়ে ধরে বসে থেকেছি।

তোমার ফোন আসতো না, মেসেজ আসতো না—তবুও আমি ইনবক্স খোলা রাখতাম।
তুমি কোনো দিন ফিরবে না জেনেও আমি দরজার পাশে দাঁড়িয়ে থেকেছি।
তোমার জীবনে আমি হয়ে গিয়েছিলাম এক ‘ফেলে আসা সময়’, আর তুমি আমার জীবনের প্রতিটা মূহূর্ত।

তুমি ছিলে আমার পৃথিবী, আর আমি তোমার শুধুই একটুখানি ক্লান্তি।


✉️ চিঠি ১৫: “তোমার স্মৃতিগুলোই এখন আমার ঘর”

প্রিয়তমা,

তুমি চলে যাওয়ার পর আমি এই ঘর ছাড়িনি। প্রতিটা দেয়াল, প্রতিটা জানালা আজও তোমার গন্ধ বহন করে। তুমি যে কফির কাপটা রেখে গেলে, আমি সেটাও ধুইনি—স্মৃতির ছায়ায় রেখেছি যত্নে।

তোমার পায়ের শব্দ, তোমার হাসির প্রতিধ্বনি, তোমার ছুঁয়ে যাওয়া বই—সবই আছে এখানে। শুধু তুমি নেই।

মানুষ চলে গেলে স্মৃতি রেখে যায়। কিন্তু তুমি স্মৃতি হয়ে গিয়েও প্রতিদিন নতুন করে কষ্ট দাও। তোমার ছায়া আমার ঘর থেকে যায় না। আমি নতুন কিছু আনি না—কারণ এই ঘরে এখনো তুমি আছো।

তোমার স্মৃতিগুলোই এখন আমার ঘর, আর আমি সেই ঘরের বন্দি।


✉️ চিঠি ১৬: “তুমি ভালোবাসলে না, আমি ছাড়তে পারিনি”

প্রিয়,

তোমার ভালোবাসা আমার জন্য ছিল না। তুমি চেয়েছিলে মুক্ত আকাশ, আমি চেয়েছিলাম একটা ঘর—ভালোবাসার ঘর।
তুমি উড়ে গেলে, আর আমি অপেক্ষায় রইলাম।

তোমার চোখে আমি কখনো সত্যি সত্যি ছিলাম না। কিন্তু আমার হৃদয়ে তুমি চিরস্থায়ী ছিলে। আমার প্রতিটি সৃষ্টিতে, কবিতায়, ছবিতে—তোমার ছায়া মিশে গেছে।

তুমি আমার জীবনের সে অধ্যায়, যেটা কখনো শেষ হয়নি—শুধু বন্ধ হয়ে গেছে হঠাৎ। আমি এখনো সেই পাতায় দাঁড়িয়ে আছি, অপেক্ষা করছি তুমি আবার কলম হাতে নেবে—আমাদের গল্পটা শেষ করবা বলে।


✉️ চিঠি ১৭: “ভালোবাসা শুধু পাওয়ার নাম নয়, হারানোর মাঝেও ভালোবাসা থাকে”

প্রিয়তমা,

তোমার ভালোবাসা হয়তো কখনোই ছিল না আমার জন্য। কিন্তু আমার ভালোবাসা ছিল তোমার জন্য, নিঃশর্ত, নিরবধি।

মানুষ ভাবে, ভালোবাসা মানেই কাছে থাকা। অথচ আমি তো দূর থেকেই তোমায় ভালোবেসেছি—তোমার ছোঁয়া ছাড়াই, তোমার হাসি ছাড়াই।

তুমি চলে যাওয়ার পরেও আমি তোমার জন্য দোয়া করি, তোমার নাম মুখে নিয়ে কাঁদি। তুমি আমাকে ভালোবাসোনি, কিন্তু আমি কখনো তোমায় ঘৃণা করিনি। এটাই হয়তো ভালোবাসার আসল রূপ—হারিয়েও যাকে ভোলা যায় না।


✉️ চিঠি ১৮: “আমার চোখ আজও খুঁজে ফেরে সেই পুরনো মুখ”

প্রিয়,

আজ তোমার ছবি হঠাৎ করেই সামনে এলো। অনেকদিন পর দেখলাম—তুমি আগের মতোই সুন্দর, কিন্তু চোখে আমার জন্য আর কিছু নেই। অথচ আমার চোখ আজও খুঁজে ফেরে সেই পুরনো মুখ, সেই প্রিয় হাসি।

তুমি এখন নিশ্চয়ই সুখী, আর আমি সেই পুরনো অনুভবগুলো নিয়ে বেঁচে আছি।
তুমি যেখানে ভুলে গেছো, আমি সেখানে স্মৃতির সাগরে ডুবে আছি।
তুমি যেখানে নতুন গল্প লিখেছো, আমি এখনো পুরনো পাতার উপর কলম চালাই।


✉️ চিঠি ১৯: “তুমি ফিরে এসো, নাহলে আমি আর থাকবো না”

প্রিয়তমা,

শেষ চেষ্টা করছি। এই চিঠি যদি কোনোদিন তোমার কাছে পৌঁছায়, তবে জেনে রেখো—আমি আর পারছি না। এই ভালোবাসার ভার আমাকে প্রতিদিন পিষে ফেলছে।
আমি আর রাত জেগে তোমার অনুপস্থিতিকে দেখে কাঁদতে চাই না।
তুমি যদি ফিরে না আসো, আমি নিজেকেই হারিয়ে ফেলবো। হয়তো চিরতরে।

ভালোবাসা যদি একতরফা হয়, সেটা কষ্ট দেয়। আর যদি সেই ভালোবাসা অবহেলিত হয়, তবে সে মৃত্যুর চেয়ে কষ্টদায়ক।


✉️ চিঠি ২০: “আমার শেষ কথা—তোমাকে এখনো ভালোবাসি”

প্রিয়,

সবশেষে একটা কথাই বলবো—তোমাকে এখনো ভালোবাসি।
তুমি যত দূরেই যাও, যতই বদলে যাও, আমার হৃদয় তোমার জন্যই রেখেছি।
তুমি ফিরে আসো বা না আসো, আমি তোমারই থাকবো।

এই ভালোবাসা আমার অভিশাপ হোক কিংবা আশীর্বাদ, আমি সেটাই মাথা পেতে নিই।
কারণ আমি জানি, আমি ভালোবেসেছিলাম সত্যি, নিঃস্বার্থভাবে।


✉️ চিঠি ২১: “তোমাকে ছাড়া আমি শুধু একটা ছায়া”

প্রিয়তমা,

আমি জানি তুমি এখন অনেক দূরে, হয়তো অন্য কারো হৃদয়ে বাসা বেঁধেছো। তবুও আমার হৃদয়ে তুমি আজও ঠিক আগের মতোই জায়গা করে আছো।

তোমার চলে যাওয়ার পর আমার জীবন আর আগের মতো নেই। যেখানেই যাই, যা কিছু করি—সবকিছুই মনে করিয়ে দেয় তোমাকে। তুমি আমার হাসিতে, কান্নায়, নিঃশ্বাসে লুকিয়ে আছো। আমি চাইলে তোমাকে ভুলে যেতে পারতাম, কিন্তু ভালোবাসা তো ইচ্ছার ব্যাপার নয়।

তোমাকে ছাড়া আমি যেন একটা চলন্ত দেহ—যার নেই কোনো আত্মা, নেই কোনো জীবনীশক্তি। আমি শুধু বেঁচে আছি, কিন্তু বেঁচে থাকা মানে তো জীবিত থাকা নয়।


✉️ চিঠি ২২: “তুমি আমার স্বপ্ন ছিলে, কিন্তু আমি তোমার বাস্তব হতে পারলাম না”

প্রিয়,

তোমাকে নিয়ে আমি অনেক স্বপ্ন দেখেছিলাম—একটা ছোট্ট সংসার, যেখানে তুমি থাকবে আমার পাশে, হাতে হাত রেখে প্রতিদিন নতুন করে শুরু করবো আমরা। কিন্তু স্বপ্নের মতোই তুমি এসেও মিলিয়ে গেলে।

তোমার জীবনে আমি কি ছিলাম? শুধুই একটা থেমে থাকা মুহূর্ত?
আমার কাছে তুমি ছিলে আমার ভবিষ্যৎ। অথচ আজ আমি দাঁড়িয়ে আছি এক অন্ধকার ভবিষ্যতের সামনে, যেখানে নেই কোনো আশার আলো।

তুমি হয়তো ভালোবাসোনি, বা ভালোবেসে ভুলে গেছো। কিন্তু আমি ভালোবেসে ভোলার শক্তিটুকুও হারিয়ে ফেলেছি।


✉️ চিঠি ২৩: “তোমার ভালোবাসা আমি অনুভব করেছিলাম, কিন্তু সেটা সত্যি ছিল না”

প্রিয়তমা,

তুমি কখনো “ভালোবাসি” বলোনি। কিন্তু তোমার চোখে, আচরণে, কিছু মুহূর্তে আমি সেই ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছিলাম। আজ বুঝি, সেটা কেবল আমারই ভুল বোঝা ছিল।

তুমি সেদিন যখন চুপচাপ দূরে চলে গেলে, আমি বোঝাতে পারিনি কতটা কষ্ট পেয়েছি।
তোমার একটিবার ফিরে তাকানোর অপেক্ষায় আমি কত রাত নির্ঘুম কাটিয়েছি, তুমি জানো না।

➜ আরোও পড়ুনঃ  মেয়েদের পটানোর কবিতাঃ রোমান্টিক ও মিষ্টি কবিতা

তোমার ভালোবাসা আসলে সত্যি ছিল না। কিন্তু আমি বিশ্বাস করে বসেছিলাম, আর সেই বিশ্বাসটাই আজ আমাকে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে।


✉️ চিঠি ২৪: “ভালোবাসা যদি একতরফা হয়, তাহলে সেটা একপাক্ষিক মৃত্যুও বটে”

প্রিয়,

তোমাকে আমি চিঠি লিখি বারবার, কিন্তু পাঠাই না। এই চিঠিগুলো জমা আছে একটা নির্জন খামে, যেগুলো পড়বে না কেউ—তুমিও না।

ভালোবাসা যখন একতরফা হয়, তখন সেটার মৃত্যু ঘটে ধীরে ধীরে। আমি প্রতিদিন সেই মৃত্যুর সাক্ষী। আমার প্রতিটা অনুভূতি যেন একেকটা কবরে শুয়ে আছে—যেখানে শব তুমি নও, আমি নিজেই।

তোমার কাছে আমি হয়তো অপ্রয়োজনীয়, একটুকরো স্মৃতি মাত্র।
কিন্তু আমি তোমার জন্য এক বিশাল জীবন সাজিয়ে নিয়েছিলাম।


✉️ চিঠি ২৫: “তুমি আমার নাম ভুলে গেছো, অথচ আমি এখনো তোমার নামে বাঁচি”

প্রিয়তমা,

তুমি কি এখনো আমার নাম মনে রাখো? হয়তো না।
কারণ যাদের আমরা ভালোবাসি না, তাদের নাম মনে রাখা লাগে না।
কিন্তু আমি এখনো প্রতিটি লেখায়, প্রতিটি প্রার্থনায় তোমার নাম উচ্চারণ করি।

তুমি আমার হৃদয়ে কেবল একজন মানুষ না—তুমি একটা সময়, একটা অনুভূতি, একটা জীবন।

তুমি হয়তো অন্য কারো পাশে ঘুমাও এখন, আমি কিন্তু এখনো তোমার স্বপ্ন দেখেই ঘুমাই।


✉️ চিঠি ২৬: “ভালোবাসা চাইলেই মুছে ফেলা যায় না”

প্রিয়,

অনেকেই বলে, “যে চলে যায়, তাকে ভুলে যেতে হয়।”
আমি অনেক চেষ্টাই করেছি, কিন্তু তুমি তো আর শুধু একজন মানুষ নও—তুমি একটা অনুভূতি, একটা আবেগ, একটা অভ্যাস।

তোমার অভাবে আমার সকাল আর শুরু হয় না ঠিকভাবে, রাতের ঘুম আসে না সহজে। তুমি আমায় ছেড়ে গেছো ঠিকই, কিন্তু আমি তোমাকে ছাড়তে পারিনি।

তুমি হয়তো অনেকদূর এগিয়ে গেছো, নতুন জীবন শুরু করেছো।
আর আমি এখনো থমকে আছি—তোমার প্রথম ‘ভালোবাসি’ শুনে যেখানে শুরু করেছিলাম।


✉️ চিঠি ২৭: “আমি আজও সেই পুরনো অপেক্ষায় বসে আছি”

প্রিয়তম,

তোমার চলে যাওয়ার পর অনেক কিছু বদলে গেছে। শহর বদলে গেছে, ঠিকানা বদলে গেছে, চেনা মানুষরাও বদলে গেছে। কিন্তু আমি বদলাইনি।

আমি এখনো সেই পুরনো জানালার ধারে বসে থাকি, যেখানে একদিন তোমাকে বিদায় বলেছিলাম। আমি এখনো চায়ের কাপ হাতে ভাবি, তুমি একদিন ফিরে এসে বলবে, “আমি ভুল করেছিলাম।”

জানো, এই আশা হয়তো আমার সবচেয়ে বড় শত্রু, কিন্তু আমি এই শত্রুকেই আঁকড়ে বেঁচে আছি।


✉️ চিঠি ২৮: “তুমি কষ্ট দাও, তবুও তোমাকেই ভালোবাসি”

প্রিয়,

তুমি আমায় বুঝতে চাওনি, আমায় গুরুত্ব দাওনি। তুমি আমার ভালোবাসার জবাবে নিরবতা দিয়েছো, প্রত্যাখ্যান দিয়েছো।
তবুও আজও তোমাকেই ভালোবাসি।

ভালোবাসা যদি শুধুই সুখ দিতো, তাহলে সবাই হয়তো ভালোবাসত।
কিন্তু যন্ত্রণা নিয়েও কেউ যদি ভালোবাসে, তবে সেটা সত্যিকারের ভালোবাসা।

আমি সেই সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষ, যে তোমার প্রতিটি অবহেলাতেও ভালোবাসা খুঁজে বেড়ায়।


✉️ চিঠি ২৯: “তোমার স্মৃতিই আমার সবচেয়ে বড় শাস্তি”

প্রিয়তমা,

তোমার স্মৃতি আমার জীবনে এমন এক দহন, যা নিভে না আবার পুরো জ্বলেও না।
তুমি চলে গেছো ঠিক, কিন্তু রেখে গেছো এমন কিছু মুহূর্ত, যা প্রতিদিন আমায় পোড়ায়।

আমি যতই ভুলতে চাই, ততই তুমি আমার হৃদয়ে ছাপ রেখে যাও। তুমি হয়তো জানো না, কতটা কষ্ট দেয় এই স্মৃতিগুলো—তোমার নিখুঁত চোখ, তোমার হাসি, তোমার চুপচাপ থাকা।

তোমার স্মৃতি এখন আমার সবচেয়ে বড় শাস্তি।


✉️ চিঠি ৩০: “শেষ চিঠি নয়—তবুও বিদায়”

প্রিয়তমা,

এই চিঠিটা হয়তো শেষ চিঠি নয়, কারণ আমি জানি, আবার লিখবো। কিন্তু এই চিঠিতে বলছি—বিদায়।
কারণ তোমার কাছ থেকে কিছু চাওয়ার মতো অবস্থানে আর নেই আমি। তুমি আমাকে দিয়েছো কেবলই অভাব, শূন্যতা, আর একতরফা অপেক্ষা।

আমি ভালোবেসেছিলাম পুরোটা হৃদয় দিয়ে। তুমি হয়তো হাসতে হাসতে ভুলে গেছো, কিন্তু আমি আজও কান্না গোপন করে বাঁচি।

তবুও জানো, এই চিঠির এক কোণে আজও লিখে রাখছি—
“ভালোবাসি, ভালোবাসবো, শুধু তোমাকেই।”


✉️ চিঠি ৩১: “তোমার না বলাটাই ছিল সবচেয়ে বড় বিদায়”

প্রিয়তমা,

তোমার চুপ করে থাকাটা অনেক কিছু বলে দিয়েছিল। তুমি কখনোই স্পষ্ট করে বিদায় বলোনি, কিংবা মুখে মুখে বলোনি “ভালোবাসি না”। কিন্তু তোমার চোখ, তোমার অচেনা হয়ে যাওয়া ব্যবহারে আমি পড়ে নিয়েছিলাম—তুমি আর আগের মতো নও।

জানো, ভালোবাসার সবচেয়ে নির্মম মৃত্যুটা হয় শব্দহীনতায়। আমরা অনেকেই বিদায় বলি না, কিন্তু চোখের চাহনি, কথার জড়তা, বারবার সময় না দেওয়া, একটা মেসেজেও রিপ্লাই না দেয়া—এসবই যেন প্রতিটি “ভালোবাসি না”র বিকল্প ভাষা।

আমি প্রতিদিন সেই ভাষায় তোমার অবহেলা অনুবাদ করেছি। প্রত্যেকটা রাত আমি কাটিয়েছি তোমার অপেক্ষায়—একটা “কেমন আছো?” শোনার আশায়। তুমি আসোনি। বলোনি কিছু। আর আমিও বুঝে গেছি—তোমার না বলাটাই ছিল সবচেয়ে বড় বিদায়।


✉️ চিঠি ৩২: “ভালোবাসি বললেই কি প্রেমের অধিকার মেলে?”

প্রিয়,

তুমি বলেছিলে, “ভালোবাসি”—আমি বিশ্বাস করেছিলাম। আমার পৃথিবীটাকেই তখন মনে হয়েছিল নতুন করে গড়ে উঠেছে। সকালটা আরামদায়ক হয়ে উঠেছিল তোমার নাম শুনেই। সন্ধ্যায় তোমার মেসেজ আসার শব্দে মনে হতো হৃদয় নেচে উঠছে।

কিন্তু একদিন হঠাৎ তুমি ব্যস্ত হয়ে পড়লে।
তারপর দিনে দিনে আমি হয়ে গেলাম অপ্রয়োজনীয়।

তুমি আমাকে ভুলে গেলে, ব্যস্ত হয়ে গেলে, অন্য কারো হাসিতে মিশে গেলে—এটা মেনে নিতে অনেক সময় লেগেছে। আমার প্রশ্ন শুধু একটাই—ভালোবাসি বললেই কি প্রেমের অধিকার মেলে? যদি না মেলে, তাহলে কেন সেই ভালোবাসা দিয়ে মানুষকে আশা দেখানো হয়?

আমার সবটুকু অনুভূতির বিনিময়ে আমি তোমার একটা উত্তরও পেলাম না।


✉️ চিঠি ৩৩: “তুমি কি জানো, অপেক্ষারও একটা মৃত্যু আছে?”

প্রিয়তমা,

আমি তোমার জন্য কতদিন, কত বছর অপেক্ষা করেছি জানো? প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই মোবাইল দেখি—তোমার মেসেজ আছে কিনা। ফেসবুকে তোমার ছবি দেখলেই হৃদয় কেঁপে ওঠে, কিন্তু তাতে আমি নেই—এই সত্যটা গলা টিপে ধরে।

তুমি কি জানো, অপেক্ষারও একটা মৃত্যু আছে?
এমন একটা সময় আসে, যখন মানুষ আর অপেক্ষা করতে পারে না—শুধু চুপচাপ থেমে যায়, নিঃশব্দে।

তোমার জন্য আমার যে ভালোবাসা ছিল, সেটাও একদিন হয়তো নিঃশেষ হয়ে যাবে। কিন্তু আমি জানি, তার আগে আমার ভেতরের মানুষটা অনেকবার মরবে, হারাবে নিজেকে, ভাঙবে প্রতিদিন।
তোমার চোখে আমি হয়তো কিছুই না।
কিন্তু আমার হৃদয়ে তুমি আজও সবকিছু।


✉️ চিঠি ৩৪: “তোমার একটা হাসিই ছিল আমার পৃথিবী”

প্রিয়তমা,

তুমি হাসলে আমি বাঁচতাম। তোমার একটা ছোট্ট মেসেজে আমার পুরো দিনের ক্লান্তি ভেসে যেত। অথচ তুমি জানোনি, তুমি আমার হৃদয়ের একমাত্র সূর্য ছিলে।

তোমার একটি ‘ভালো আছি’ শুনলেই আমি পুরোটা দিন কাজ করতে পারতাম। আর এখন? এখন আমি প্রতিদিন বাঁচার অভিনয় করি, কারণ তুমি আর সেই বার্তা দাও না। তোমার মেসেঞ্জার এখন নিশ্চুপ, সেই নীল রঙের বুদবুদগুলো আর আসে না আমার ইনবক্সে।

তুমি জানো না, কতোবার আমি লিখে রেখে ডিলিট করেছি—“কেমন আছো?”
কারণ আমি জানি, তুমি পড়লেও রিপ্লাই করবে না। তুমি এখন ব্যস্ত অন্য কোথাও, অন্য কারো সঙ্গে।

কিন্তু আমার কাছে আজও সেই পুরোনো হাসির ছবি রাখা—যেটা ছিল শুধু আমার জন্য।


✉️ চিঠি ৩৫: “তুমি আমার বুকের বাম পাশে একটা শূন্যতা রেখে চলে গেছো”

প্রিয়,

তুমি যখন হেঁটে গিয়েছিলে, তখন বুঝিনি তুমি আর ফিরবে না। আমি তখন ভেবেছিলাম—“আচ্ছা, রাগ করেছে, একদিন ঠিক ফিরে আসবে।”
কিন্তু তুমি ফিরোনি।

আমার বুকের বাঁ পাশে একটা শূন্যতা রেখে তুমি চলে গিয়েছো। এই শূন্যতা আমি প্রতিদিন অনুভব করি। চা খেতে গিয়ে, সন্ধ্যায় একলা হাঁটতে গিয়ে, রাতের ঘুমে ডুবে যাবার আগে—সর্বত্র আমি শুধু তোমার অনুপস্থিতি অনুভব করি।

জানো, এখন আর কাউকে ভালোবাসতে ইচ্ছে করে না। মনে হয়, সবাই যদি অবহেলা করতে শেখে, তাহলে ভালোবাসা শেখায় কে?


✉️ চিঠি ৩৬: “ভালোবাসা না পাওয়াটাই যদি নিয়তি হয়, তবে কেন ভালোবাসা আসে?”

প্রিয়তমা,

ভালোবাসা যদি না পাওয়ারই হয়, তবে সেটা জন্মায় কেন? কেন আমি তোমাকে দেখে এতটা ভালোবেসে ফেললাম, যদি জানতাম, একদিন এই তুমি আমার সব ভালোবাসা ফিরিয়ে দেবে?

তুমি যখন হাসো, আমি কাঁদি। কারণ এখন আমি জানি, তোমার সেই হাসির কারণ আর আমি নই।
তুমি অন্য কারো সাথে কথা বলো, অন্য কাউকে মুগ্ধ করো—আর আমি দূর থেকে তাকিয়ে থাকি, বোবা হয়ে।

ভালোবাসা কোনোদিন সমান হয় না—এই কথাটা আমি কেবল তোমাকে ভালোবেসেই বুঝলাম।
কিন্তু এটাও বুঝলাম, ভালোবাসা না পেলেও, ভালোবাসা থেমে যায় না।


✉️ চিঠি ৩৭: “আমার ভালোবাসা হয়তো দুর্বল ছিল না, কিন্তু তুমি ছিলে দুর্ভেদ্য”

প্রিয়,

আমি তোমাকে বোঝাতে চেয়েছিলাম—তুমি আমার জীবনের প্রতিটা রঙ, প্রতিটা নিশ্বাস।
তুমি বুঝোনি। তুমি এমনভাবে আচরণ করেছিলে, যেন আমার অনুভূতি কিছুই না।

আমি ভেবেছিলাম, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তুমি বুঝবে। কিন্তু সময় শুধু আমাকে একলা করে গেছে।

আমার ভালোবাসা হয়তো দুর্বল ছিল না, কিন্তু তুমি এমন একটা প্রাচীর তুলে রেখেছিলে, যেখানে ভালোবাসা ঢুকতে পারেনি।

আজ সেই প্রাচীরেই তুমি অন্য কারো সঙ্গে বসে গল্প করো, আর আমি দূর থেকে তাকিয়ে থাকি, এক নিঃশ্বাসে সবটা সহ্য করে নিই।


✉️ চিঠি ৩৮: “তুমি ছিলে আমার কবিতা, আর আমি তোমার অপ্রকাশিত ডায়েরির পাতা”

প্রিয়তমা,

তোমাকে নিয়ে আমি শত শত কবিতা লিখেছিলাম।
তোমার চোখের বর্ণনা দিতে গিয়ে অক্ষর ফুরিয়ে যেত, কিন্তু ভাব ফুরাতো না।

তুমি ছিলে আমার কবিতা।
আর আমি? আমি ছিলাম তোমার সেই ডায়েরির পাতাগুলো, যেগুলো কখনোই পড়া হয় না, প্রকাশ হয় না, কেবল জমে থাকে ধুলোয়।

তোমার জীবনে আমার অবস্থান ছিলো অদৃশ্য প্রেমিকের মতো—ছিলাম, আছি, কিন্তু তুমি দেখোনি কখনো।
আমি আজও সেই অপ্রকাশিত প্রেম, যেটা কেবল কবিতায় বাঁচে, বাস্তবে নয়।


✉️ চিঠি ৩৯: “তোমাকে হারিয়ে আমি নিজেকেও হারিয়েছি”

প্রিয়,

তুমি শুধু চলে যাওনি—তুমি নিয়ে গেছো আমার হাসি, শান্তি, ঘুম, চোখের স্বপ্ন।
তোমার সাথে আমার যে অংশ ছিল, সেটা তুমি ছিঁড়ে নিয়ে চলে গেছো।

আজ আমি আয়নায় তাকিয়ে নিজেকে খুঁজে পাই না।
তোমার ভালোবাসার জন্য আমি নিজেকে বদলে ফেলেছিলাম।
এখন যখন তুমি নেই, তখন বুঝতে পারছি—আমি আর আমি নেই।

তোমাকে হারানো মানেই আমি নিজেকে হারানো।


✉️ চিঠি ৪০: “এই ভালোবাসা আমৃত্যু থাকবে, তোমার না জানলেও”

প্রিয়তমা,

তুমি জানো না আমি আজও ভালোবাসি। তুমি জানো না, আমি প্রতিদিন তোমার ছবির দিকে তাকিয়ে নিঃশব্দে হাসি—আর কাঁদি।

তুমি হয়তো অন্য কোথাও সুখে আছো, হয়তো কারো সঙ্গে হাতে হাত রেখে হাঁটছো।
আমি কিছু চাই না আর। শুধু চাই, তুমি সুখে থাকো।

এই ভালোবাসা আমি তোমার নামে উৎসর্গ করেছি। তুমি জানো না তাতে কিছু আসে যায় না—কারণ ভালোবাসা কখনো স্বীকৃতির অপেক্ষা করে না।

তোমার না জানলেও, আমি ভালোবাসবো। আমৃত্যু।

শেষকথা

আশা করি আমাদের আজকের শেয়ার করা এই সমস্ত অবহেলিত ভালোবাসার চিঠি গুলো পরে আপনাদের খুব ভালো লেগেছে এবং আপনারা সবাই এই অবহেলিত ভালোবাসার চিঠি গুলো পছন্দ করেছেন।

তবে মনে রাখবেন , এখানে যে সমস্ত অবহেলিত ভালোবাসার চিঠি আপনাদের জন্য আনা হয়েছে এগুলো কিন্তু সবগুলোই অনেক বেশি অসাধারন। আর আপনারা সবগুলো পরলে অবশ্যই এখান থেকে আপনাদের অপছন্দের যাবতীয় অবহেলিত ভালোবাসার চিঠি গুলো খুজে পাবেন।

সবাই ভালো থাকবেন। আর চাইলে আমাদের আজকের পোষ্টে থাকা প্রতীটি অবহেলিত ভালোবাসার চিঠিআপনার পরিচিত বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। সবাই অবশ্যই অনেক বেশি পছন্দ করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পোষ্ট এর সূচি দেখুন

সূচিপত্র